১৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:৪৬

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ যাচাইয়ে দুটি কমিটি করবে সরকার

  © ফাইল ছবি

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিগুলো আগামী আগস্টের শেষদিকে গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

আজ বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। একইসঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে বার্ষিক পরীক্ষা 

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমস্যা এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাথায় রেখে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে বলে মনে করছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন ও আর্থিক সমস্যা মাথায় রেখে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে সম্ভব এবং কিভাবে করলে আমাদের শিক্ষা এবং শিক্ষকের মানোন্নয়ন সম্ভব; কিভাবে এই বিষয়টি করতে পারবো এবং তার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা কতটুকু এগুলো বিষয় দেখার জন্য দুটি কমিটি আমরা করে দিচ্ছি।”

ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষকরা যে জীবন মানোন্ননের লক্ষ্য জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন, এখানে যাতে কোন বৈষম্য না থাকে সেটি গবেষণার বিষয়— এজন্য একটি কমিটি করে গবেষণা করে দেখার জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট আর্থিক বিষয়টি গবেষণা করে দেখার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করে দেয়া হবে; তারা দেখবে এতে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী কতদূর আগানো সম্ভব বা কতদ্রুত এটি আমরা দিতে পারব।

প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষকদের বেতনসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ সরকার অনেক টাকা দিলেও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকে সরকার কোন টাকা নেয় না; এটি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতনসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ অনেক খরচই সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানসমূহে দেয়া হয়, কিন্ত সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের আয় থেকে কোন অর্থ নেয় না; এই পুরো ব্যাপারটি গবেষণা করে দেখারও বিষয় আছে।” 

আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে এই দুইটি কমিটি গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এই দুটো কমিটি করার জন্য উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। আমরা আশা করি আগস্ট মাসের মধ্যে এই দুটো কমিটি গঠন করে দিতে পারবো। তারপরে কমিটিকে তাদের কার্য পরিধি ঠিক করে দিতে হবে এবং কাজসমূহ সম্পন্ন করবার জন্য কমিটিকে সময় দিতে হবে।