স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু ১৬ নভেম্বর, এবারও হবে না পরীক্ষা

স্কুল শিক্ষার্থী
স্কুল শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

আগামী বছরের জন্য অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে। চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারও লটারির মাধ্যমে  ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর (সরকারি) ও ১৩ ডিসেম্বর (বেসরকারি)।

এবার আবেদন ফি ১১০ টাকা, পরিশোধ করতে হবে টেলিটকের মাধ্যমে। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিষয়টি এখন শিক্ষামন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, আগের মতোই থাকছে ভর্তি ফি। সে অনুযায়ী রাজধানীর এমপিওভুক্ত স্কুলে ভর্তি ফি ৫ হাজার, নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। আর অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

লটারিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আগে যাদের টাকা আছে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েই স্কুলে ভর্তি করাতো। আর যাদের টাকা নেই তারা পারতো না। এটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি লটারিতেই হবে। গত বছরের মতোই হবে। সরকারি-বেসরকারি সবাই লটারির মাধ্যমে ভর্তি করবে।

ভর্তি ফি সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা আছে আমাদের। বাড়তি ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। পরিপত্রে যেটা দেওয়া থাকবে এর ভেতরেই তাদের ভর্তি করাতে হবে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি কবে জারি হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক আরও বলেন, খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সভা হবে। সভায় অনুমোদন পেলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে খসড়া করেছি।

মাউশি থেকে জানা যায়— সরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।

ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। আর বেসরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

এছাড়া আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।

জানা যায়— সারাদেশে ২ হাজার ৯৬১টি বেসরকারি স্কুলে আসন রয়েছে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি। আর সরকারি ৪০৫টি সরকারি স্কুলে আসন ৮০ হাজার ৯১টি।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সাল থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।


সর্বশেষ সংবাদ