৫২ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে হাইতি, আছে পানামাও
ইতিহাস গড়ে বায়ান্ন বছর পর বিশ্বকাপে চান্স পেয়েছে হাইতি। সবশেষ ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছিল তারা। এরপর আর কোন বিশ্বকাপে জায়গা করতে না পারলেও এবার মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।
কনক্যাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে নিকারাগুয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে তারা।
হাইতির বিশ্বকাপে খেলতে পারাও দারুণ চমকপ্রদ। সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলগুলির সংঘর্ষে দেশটিতে প্রায় যুদ্ধাবস্থা চলছে, ১৩ লাখ মানুষ হয়েছের ঘরছাড়া, দেশে চলছে দুর্ভিক্ষ। নিজেদের দেশে ম্যাচ খেলার পরিস্থিতি নেই তাদের, ঘরের মাঠের ম্যাচগুলি তারা খেলছে কুরাসাওয়ে। তাদের কোচ সেবাস্তিয়াঁ মিনিয়ে দেড় বছর আগে নিয়োগ পেলেও এখনও সেই দেশেই যেতে পারেননি নিরাপত্তার ঝুঁকিতে। সেই দেশই সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে হন্ডুরাস ও কোস্টা রিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বকাপের ঠিকানা পেয়ে গেছে।
শেষ রাউন্ডের আগে গোল ব্যবধানে হন্ডুরাসের চেয়ে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে ছিল হাইতি। কিন্তু শেষ দিনে নিকারাগুয়াকে হারায় তারা ২-০ গোলে, হন্ডুরাস গোলশূন্য ড্র করেছে কোস্টা রিকার সঙ্গে।
এদিকে ২০১৮ সালের পর আবারও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পানামা। শেষ রাউন্ডের আগে গোল ব্যবধানে সুরিনামের চেয়ে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে ছিল পানামাও। শেষ রাউন্ডে তারা এল সালভাদরকে হারায় ৩-০ গোলে। অন্য ম্যাচে গুয়াতেমালার কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় সুরিনাম।
সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে না পারলেও জ্যামাইকা ও সুরিনামের আশা শেষ হয়ে যায়নি। আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে দেশ দুটি।
এই দুই দলকে নিয়ে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফের ছয় দলও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অন্য চার দল বলিভিয়া, কঙ্গো, ইরাক ও নিউ কালেডোনিয়া। আগামী মার্চে এই প্লে-অফ থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে দুটি দল।