১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৬

বাংলাদেশ নিয়ে আবেগঘন বার্তা হামজা চৌধুরীর

হামজা চৌধুরী   © সংগৃহীত

নভেম্বর উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলতে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর রবির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সারেন তিনি। সেই অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাতানো এই ফুটবলার।

হামজার মতে, অনেক পেশাদার ফুটবলারের কাছে অর্থই সবকিছু, খেলার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড দূতিয়ালি কিংবা সামাজিক কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনই মুখ্য লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তবে তার কাছে অর্থের চেয়ে বড় হলো দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ফুটবলের উন্নয়ন।

তার ভাষ্যমতে, ‘আমি টাকার কথা আলাদাভাবে চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারি, সেটাই মূল বিষয়। সেই উন্নতিতে নিজের সামর্থ্যমতো অবদান রাখাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের সঙ্গে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে আসাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে অনুপ্রাণিত করতে।’

বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হামজা জানেন, এখনো ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক নিচে বাংলাদেশ, ১৮০-এরও পেছনে। তবু বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার সময় সমর্থকদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। তার দাবি, এই ভালোবাসা তার বাবা-মাকে গর্বিত করবে, এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

হামজার ভাষ্য, ‘আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি। আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি।যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’

বর্তমানে জাতীয় দলের অন্যতম ভরসা হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম। হামজার আশা, বাংলাদেশের মাটিতেও একদিন অনেক মেধাবী ফুটবলার উঠে আসবে, যারা দেশের ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

হামজা বললেন, ‘শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশ থেকেও আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখব। ইনশাআল্লাহ হয়তো একদিন তারা ইউরোপেও খেলবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই দেশ হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারব। সবাই মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করে দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে পারব, খেলাটা আরও বড় করতে পারব এবং প্রচুর উন্নতি করতে পারব।’

আগামী ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলবে লাল-সবুজেরা। আর দুই ম্যাচই জিততে চান হামজা, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার সামনে দুটা ম্যাচ আছে। তাই আমি এখন সম্পূর্ণভাবে সেই ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। নিশ্চিত করব যে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে যেন খেলতে পারি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি। যা আমাদের জিততে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে।’