১২ মিনিটে ৪ গোল, বড় জয় বাংলাদেশের
এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিদায়ঘণ্টা আগেই বেজে গিয়েছিল। ফলে, শেষ ম্যাচটা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। ‘নিয়মরক্ষার’ সেই ম্যাচেই হঠাৎ জ্বলে উঠল বাংলাদেশের যুবারা। সিঙ্গাপুরকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারাল শেখ মোরসালিনের দল। ম্যাচের ৭০ থেকে ৮২ মিনিট—মাত্র ১২ মিনিটেই ৪ গোল করে প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় তারা।
আগুনঝরা এই সময়ে একে একে ফাহামিদুল ইসলাম, আল আমিন, মহসিন আহমেদ ও মোরসালিন গোল করেন। অন্যদিকে ইনজুরি টাইমে সিঙ্গাপুরের একমাত্র গোলটি করেন নাদিম রহিম।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। দুর্দান্ত সব আক্রমণ করেও মেহেদী হাসান শ্রাবণ বাঁধা ভাঙতে পারেনি সিঙ্গাপুর। বিপরীতে বেশ কয়েকটি আক্রমণের ছক কষলেও তা কাজে আসেনি বাংলাদেশের। এতে গোলশূন্য সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দল দুটি।
বিরতির পর মাঠে নামেন ইতালিপ্রবাসী মিডফিল্ডার ফাহামিদুল ইসলাম। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার দুর্দান্ত এক শটেই লিড নেয় লাল-সবুজ শিবির। দেশের জার্সিতে এটিই তার প্রথম গোল।
দুই মিনিট পর গোলের দেখা পান আরেক ফরোয়ার্ড আল আমিন। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া লং পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ম্যাচের ৮০তম মিনিটে সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল উপহার পায় বাংলাদেশ। দূরপাল্লার শটে মোহসিন আহমেদের দিকে বল বাড়ান মোরসালিন। সেই সুযোগ লুফে নেন মহসিন।
অবশ্য, চমকের তখনো বাকি। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন অধিনায়ক মোরসালিন। শেষদিকে অর্থাৎ ম্যাচের ৯১তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড নাদিম একটি গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-১।
এর আগে, আসরের প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের কাছে ২-০ গোলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের কাছে একদম শেষ মিনিটে ১-০ গোলের হার দেখতে হয় বাংলাদেশকে।