৩১ জুলাই ২০২৫, ২০:১৯

‘ইতিহাস নয়, সামনে তাকান’—কোচ-অধিনায়কের কণ্ঠে নতুনত্বের আভাস

বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মিয়ানমারে নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের পর ঘরের মাঠে সাফ অ-২০ টুর্নামেন্ট খেলেছে বাঘিনীরা। আগামী ২ আগস্ট এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই খেলতে লাওস রওনা হচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানান অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।

তার ভাষ্যমতে, ‘আমরা সেখানে ভালো খেলে কোয়ালিফাই করার জন্যই যাচ্ছি। আমরা টানা খেলার মধ্যে আছি। সাফে সবাই গেম টাইম পেয়েছে। আমরা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যারা খেলেছি, তারা কিছুটা বিশ্রাম নিয়েই খেলেছি। ফলে তেমন ক্লান্তি নেই।’

সাম্প্রতিক সময়ে এএফসির বয়সভিত্তিক কোনো আসরে খেলেনি বাংলাদেশ। ফলে, আসন্ন এই টুর্নামেন্টের কঠিন গ্রুপে পড়েছে তারা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের গ্রুপে আসরের হট ফেভারিট দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে। এছাড়া স্বাগতিক লাওসও ছেড়ে কথা বলবে না, সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান।

টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, বাছাইপর্বে ৮ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স-আপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। হট ফেভারিট কোরিয়া থাকায় সেরা তিন রানার্সআপে চোখ বাংলাদেশের।

এ নিয়ে কোচ জেমস পিটার বাটলার বললেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের (মহাদেশের) সেরা দল। নিঃসন্দেহে তারা অনেক এগিয়ে ও অনেক ভালো দল। আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের সঙ্গে। সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ম্যাচ জিতে আমরা এগিয়ে থাকতে চাই।’

অতীতে দুইবার এএফসি অ-১৬ নারী টুর্নামেন্টে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে অ-২০ আসরে সেই কীর্তি নেই। প্রায় ৬ বছর আগে এএফসি অ-১৯ নারী বাছাইয়ের ফলও পক্ষে কথা বলছে না। এমন এক প্রশ্নে কিছুটা রসিকতা করলেন বাংলাদেশ কোচ। 

তিনি বললেন, ‘এটা ২০২৫ সাল, ২০১৯ নয়। আগে কি হয়েছে, সেটা দেখার বিষয় নয়। এ দেশে ইতিহাস নিয়েই মানুষ পড়ে থাকে বেশি। সামনে এগুতে হবে।’

বাংলাদেশের ম্যাচগুলো:

৬ আগস্ট লাওস
৮ আগস্ট তিমুরলিস্তে
১০ দক্ষিণ কোরিয়া
(লাও জাতীয় স্টেডিয়াম, ভিয়েনতিয়ান)