৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০১

ছোট ‘সুপারফুড’ কোয়েলের ডিমে যত উপকার, খাবেন না কারা

কোয়েলের ডিম  © সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসচেতনদের ডায়েটে এখন দিনদিন জায়গা করে নিচ্ছে কোয়েল পাখির ডিম। এতে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকলেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। আকারে ছোট হলেও পুষ্টিগুণের কারণে এটিকে ‘নিউট্রিয়েন্ট-ডেন্স ফুড’ হিসেবে বলা হয়। এটিকে ছোট ‘সুপারফুড’-ও বলা হয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কোয়েল ডিম যুক্ত হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি থেকে শুরু করে রক্তের গুণগত মান—বহু দিকেই ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। কোয়েলের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন-এ, আয়রন, সেলেনিয়ামসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান।

১. কোয়েল পাখির ডিমে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম থাকায় হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থাইটিস, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং হজমজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।

২. কোয়েলের ডিম হজমশক্তি ভালো রাখে। সকালে খেলে পেটে অস্বস্তি কমায়। হালকা গ্যাস বা অম্বল কমাতে পারে, পুষ্টি শোষণ বাড়ায়।

৩. কোয়েল ডিমে থাকা ভিটামিন-এ চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি খনিজ উপাদানগুলো ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সহায়ক।

৪. কোয়েলের ডিমে থাকা উচ্চ মানের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভিটামিন বি, সকালে খেলে সারাদিন শক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫. ভিটামিন বি-১২ ও ফোলেট মস্তিষ্কের নার্ভ সিগন্যালিং প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। তাই এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।

আরও পড়ুন : পাওয়ার ন্যাপ কি সত্যিই কার্যকর?

সবার জন্য সবার জন্য কোয়েলের ডিম মোটেও উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদ্‌রোগ রয়েছে, তাদের ১/২টির বেশি কোয়েলের ডিম না খাওয়াই উত্তম। এই ডিম সাধারণত অপরিশোধিত অবস্থায় বাজারে বিক্রি হয়। ফলে কাঁচা বা অল্প সিদ্ধ ডিম খেলে জীবাণুর ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে খেতে হবে। আবার যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই ডিম এড়িয়ে চলায় উত্তম।