০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯

রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে যেসব ফল

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অনেক ফল  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে থাকে অনেক নিষেধাজ্ঞা। সাধারণত মিষ্টি জাতীয় ফল বা খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। তবে উচ্চ আঁশ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

আপেল
আপেল উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ ফল। এটি হজম প্রক্রিয়া এবং চিনির শোষণকেও ধীর করে দেয়। চিনি ধীর গতিতে রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।  আবার, এতে থাকা পলিফেনল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি।

আমলকি
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (পলিফেনল, ট্যানিন), ফাইবার ও ক্রোমিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। সকালে খালি পেটে কাঁচা আমলকি খেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ক্রোমিয়াম শরীরে ভাল ভাবে শোষিত হবে ও ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। কাঁচা আমলকির রস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।  

আরও পড়ুন : সকালে হাঁটার নয়টি চমকপ্রদ উপকারিতা

পেয়ারা
কম ক্যালোরি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল পেয়ারা ধীরে ধীরে হজম হয় এবং শরীরের কোষ দ্বারা ধীরে ধীরে শোষিত হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। রয়েছে ভিটামিন সি। এছাড়া এতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশ কম এবং পটাশিয়াম বেশি। এই উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া পেয়ারার পাতার রসও শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে।

বেরি 
বেরি জাতীয় ফল (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি) উচ্চ মাত্রায় আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।

পিচ ফল
পিচ ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও পটাসিয়াম আছে। ডায়বেটিস হলে অন্যান্য যে শারীরিক সমস্যা হয় তার বিরুদ্ধেও লড়াই করে পিচ ফলে উপস্থিত বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ। নিয়মিত পিচ খেলে প্রদাহ কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।