মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য ছাড়াও সকালে আখরোট খেলে পাবেন যেসব উপকার
আখরোট বা ওয়ালনাট শুধু মস্তিষ্কের জন্য উপকারী এমন ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু এই বাদামজাত খাবারটির গুণাগুণ এর চেয়েও অনেক বিস্তৃত। এতে রয়েছে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা হৃদ্যন্ত্র, ত্বক, হাড়, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তাই এটি প্রতিদিন দিনের শুরুতেই সকালে খাওয়া যেতে পারে।
মস্তিষ্কের বিকাশে আখরোটের ভূমিকা
আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর গঠন ও কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, মনোযোগ ধরে রাখা এবং বয়সজনিত মস্তিষ্কের অবক্ষয় কমাতে সাহায্য করে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক মুঠো আখরোট খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ও মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। আখরোট রক্তনালীকে নমনীয় রাখে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রাখে।
হাড় ও পেশির গঠনে উপকার
আখরোটে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পেশি শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
ত্বক ও চুলের যত্নে
আখরোটে ভিটামিন ই, বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এগুলো ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে, চুলের গোড়া শক্ত করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। আখরোটের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক কোমল থাকে ও শুষ্কতা কমে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো
আখরোটে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা মন ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর। নিয়মিত অল্প পরিমাণে আখরোট খেলে ঘুমের মানও উন্নত হয়।
কীভাবে খাবেন
সকালের নাশতায় দুধ বা ওটসের সঙ্গে কুচানো আখরোট মেশানো যেতে পারে। বিকেলে হালকা স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত নয়। প্রতিদিন ৪–৫টি আখরোটই যথেষ্ট।
সতর্কতা
আখরোটে ক্যালরি তুলনামূলক বেশি, তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। যাদের বাদাম অ্যালার্জি আছে, তাদের ক্ষেত্রে আখরোট খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।