ত্বক গ্লো করতে প্রসাধনীর সঙ্গে নজর দিতে হবে ডায়েটেও, জেনে নিন খাদ্যাভ্যাস
ত্বকের যত্নে অনেকেই ভরসা রাখেন বিভিন্ন প্রসাধনীতে। অনেকে মনে করেন, নিয়মিত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের রূপ বদলে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এসব প্রসাধনী সাময়িকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ালেও এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী নয়। বরং অতিরিক্ত ব্যবহারে হতে পারে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ত্বক সত্যিকার অর্থে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে প্রয়োজন ভেতর থেকে যত্ন নেওয়া। এর জন্য দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস। প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখবে, পুষ্টি জোগাবে ও স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনবে।
কী কী খেলে ত্বক ভাল থাকবে?
পেঁপে
পেঁপেতে পানির পরিমাণ বেশি এবং সোডিয়াম কম। এতে ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। নিস্তেজ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এবং ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে হলে নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।
পালংশাক
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পালংশাক, ত্বকের যত্নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক আগলে রাখে পালংশাক। বলিরেখা-সহ ত্বকের আরও অনেক সমস্যা থেকে মিলবে চটজলদি মুক্তি।
শসা
শসায় ৯৫ শতাংশেরও বেশি জল থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য রোজ শসা খেতেই হবে। শসায় অনেক সক্রিয় জৈব যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিউকারবিটাসিন, ভিটেক্সিন, ওরিয়েন্টিন এবং এপিজেনিন যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি আছে এমন খাবার
ত্বককে জীবাণু ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের হাত থেকে বাঁচায় ভিটামিন ডি। এর পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতেও ভিটামিন ডি-র ভূমিকা কম কিছু নয়। প্রতিদিন পাত ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি রাখা দরকার। খেতে পারেন মাখন, চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবার। এছাড়াও মাছ, ডিম ও মাছের লিভারের তেল।