২৩ মে ২০২৫, ২১:০০

কেন খাবেন গ্রিন-টি? দিনে কয় কাপ খেলে মিলবে সর্বোচ্চ উপকার

গ্রিন-টি  © সংগৃহীত

গ্রিন-টি (সবুজ চা) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ওজন কমানো, হৃদ্‌যন্ত্র সুরক্ষা, ক্যানসার প্রতিরোধ, মানসিক চাপ কমানোসহ নানা উপকারে আসে এটি। তবে এসব উপকার পেতে হলে খেতে হবে উপযুক্ত পরিমাণে। 

গ্রিন-টি কি?

ক্যামেলিয়া সিনেনসিয়া নামক গাছের পাতা থেকে তৈরি হয় গ্রিন-টি। প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতির তফাতের জন্যই রোস্ট করা চায়ের চেয়ে এতে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। 

কখন খাবেন গ্রিন-টি?

গ্রিন-টি খাবারের ৩০-৪৫ মিনিট পর খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে ক্যাফেইন থাকে।

বেশি খেলেই কি ভালো?

অতিরিক্ত গ্রিন-টি খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন: এতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে ঘুমের সমস্যা, খালি পেটে বা খাবারের সাথে খেলে আয়রন শোষণে বিঘ্ন, পেট খারাপ বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে। গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সীমিত গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

আরও পড়ুন: চা, কফি খাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি? জেনে নিন কোনটি বেশি উপকারী

সর্বোচ্চ সুফলের জন্য দিনে কত কাপ?

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন-টি প্রতিদিন খেলে বেশিরভাগ মানুষ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে পারেন। ৩ থেকে ৫ কাপ পর্যন্ত খেলে ওজন কমানো বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকারী এবং ক্যাফেইন সেনসিটিভ হলে প্রতিদিন ১-২ কাপ খেতে পারেন।

কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন–টি পান করেন, তাদের মস্তিষ্কে থাকা হোয়াইট ম্যাটারের ক্ষতি কম হয়। প্রতিদিন ৩ বা তার চেয়ে বেশি গ্লাস গ্রিন–টি মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটার কমে যাওয়া রোধ করে। গ্রিন–টি হোয়াইট ম্যাটার কমে যাওয়া রোধ করে বলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা স্থির থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এটি।

পরিমিত পরিমাণে গ্রিন-টি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে এটা হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের এক অনন্য সহায়ক। তবে কোনও দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকলে বা ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।