জনপ্রিয় হচ্ছে চোখের লেন্স
মনের কথা বলে চোখ। তাই এটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে একটু কষ্ট করা যেতেই পারে। এক্ষেত্রে হাল আমলে ক্রমান্বয়ে যে ফ্যাশনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে; সেটাই লেন্স। বাজারে ধূসর, বাদামি, হ্যাজেল, অ্যাকুয়া, নীল, সবুজ রঙের লেন্স চলছে বেশ। আবার স্বচ্ছ লেন্সেরও চাহিদাও প্রচুর। তবে লেন্স ব্যবহারের নিম্নের কয়েকটি বিষয় না জানলেই নয়।
* নির্দিষ্ট দ্রবণে কন্টাক্ট লেন্স রাখতে হবে। এতে লেন্স ভেজা থাকবে। প্রত্যেকের উচিত, লেন্সের সঙ্গে দ্রবণ ও তা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ফেলা।
* অপরিস্কার দ্রবণে লেন্স সংরক্ষণ করা যাবে না।
* সাধারণ দ্রবণের মেয়াদ তিন মাস হয়ে থাকে।
* কন্ট্রাক্ট লেন্সের মেয়াদ সম্পর্কে জানুন। মেয়াদহীন লেন্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
* শিশু ও বয়স্ক ছাড়া অন্যরা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কারও চোখের কর্নিয়ায় যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি একেবারেই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না।
* চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। অসাবধানতাবশত কন্টাক্ট লেন্স হাত থেকে পড়ে গেলে কোনো অবস্থাতেই সেটি আর ব্যবহার করা যাবে না।
* চোখে যতটা কম সময় কন্টাক্ট লেন্স রাখা যায়, ততই ভালো। প্রয়োজন শেষেই কন্টাক্ট লেন্স খুলে রাখুন। একটানা পাঁচ-ছয় ঘণ্টার বেশি সময় কন্টাক্ট লেন্স না পরে থাকাই ভালো।
* যাদের স্বাভাবিকভাবেই পাওয়ার চশমা ব্যবহার করতে হয়, তারা সেই অনুযায়ী পাওয়ারযুক্ত কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন; তবে সেটিও যত দূর সম্ভব কম সময়ের জন্যই ব্যবহার করা উচিত।
* কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারে যে কোন ধরণের চোখের সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, চোখ মূল্যবান জিনিস। ফ্যাশনের চেয়ে বেশি দরকার চোখকে ভাল রাখা।