এবার ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ঢাবি ছাত্রী অনন্যা
করোনাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। আরও একবার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করলেন তিনি। এবার বন্যা দূর্গতদের নিকট নিজে নৌকায় করে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, কয়রার ছেলে ইমরান পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত মে মাস থেকে তারা বন্যার ফলে ভাসমান জীবনযাপন করে আসছেন। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনন্যার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ইমরান তার ফেসবুক আইডি থেকে তাদের করুন চিত্র তুলে ধরে সহযোগিতা করার আহবান জানান অনন্যাকে।
তাতে সাড়া দিয়ে গত ১৭ অক্টোবরে সকাল ৬টায় রওনা হন ১১০ পরিবারের এক সপ্তাহের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিয়ে। যশোর থেকে পাঁচ ঘন্টার দূরত্বে খুলনার সুন্দরবন উপকূলবর্তী কয়রা এলাকায় পৌছে কখনও নৌকায় করে আবার কখনেও পায়ে হেটে অসহায় পরিবারগুলোর নিকট এসব ত্রাণ পৌছে দেন অনন্যা।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও যশোর সদরের এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক পরিবারের জন্য আট কেজি করে চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি আলু ও এক লিটার করে সয়াবিন তেল দেন তিনি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র, জুনিয়র ও সহপাঠীদের মধ্যে ১০০ জনকে করোনাকালে বিকাশে এক থেকে দেড় হাজার টাকা করে দিয়েছেন। রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ছিন্নমূল মানুষের জন্য রান্না করা খাসির মাংশের সাথে খিচুড়ি ইফতারও দিয়েছেন।
অনন্যা বলেন, ‘যশোর থেকে পাঁচ ঘন্টার দূরত্বে, সুন্দরবন উপকূলবর্তী কয়রা এলাকায় গত ৫-৬ মাস ধরে বন্যা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি স্বরূপ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে আমি ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি দেশের যেকোন দুর্যোগ আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব। শুধু করোনা নয়, যেকোন দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকার শপথ নিয়েছিলাম এবং থাকব।’