সিফাত ও শিপ্রার মুক্তি চাইলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা সিফাত ও শিপ্রাকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজন ও নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ফটো ব্যানার পোস্ট করে এ দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ছবিটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘চলচ্চিত্র কর্মী শিপ্রা ও সিফাত এর শর্তহীন মুক্তি চাই।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের তথ্যচিত্র নির্মাণের সহযোগী ছিলেন সিফাত ও শিপ্রা। ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে দুটি মামলায় বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
তাদের মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন সহপাঠীরা। এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। এরমধ্যে শনিবার বরগুনায়ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসময় বামনা থানার ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদার একই থানার এএসআই পদমর্যাদার এক পুলিশ সদস্যকে মানুষের সামনে প্রকাশ্যে থাপ্পড় দিয়েছেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা ভিডিও চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাতের নিজ বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায় তার মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের এক কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ না করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সহকর্মীকে থাপ্পড় মারেন ওসি।
এ ঘটনার ভিডিওটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওসি ইলিয়াস আলী প্রথমে উত্তেজিত হয়ে থানার এক সাব ইন্সপেক্টরকে চরথাপ্পড় দেন। এসময় চিৎকার করে তিনি বলেন, কী করেন আপনারা? পিটান সবাইকে। পরে ওসি নিজেই শিক্ষার্থীদের পেটাতে শুরু করেন।
এর আগে পুলিশ এসে প্রথমে মানববন্ধনের ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে সিফাতের বন্ধুরা মানববন্ধন চালিয়ে গেলে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস আলী তালুকদার ছুটে এসে মানববন্ধনরত শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা শুরু করেন। এতে ৪ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মো. রুবেল, ইমরান, রায়হান ও মিথুন।