এশিয়ান জুনিয়র দাবা বাছাইয়ে প্রথম বাংলাদেশের ফাহাদ
দক্ষিণ এশিয়ার দাবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান প্রথম হয়েছে।এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২০ জুনিয়র অনলাইন দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে এই পর্বে অংশ নেয় দেশের ছয় দাবাড়ু। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে ফাহাদের সঙ্গে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও নোশিন আঞ্জুম।
এক দিনের র্যাপিড দাবায় বালক বিভাগে বাংলাদেশের ফাহাদ ও তাহসিনের পয়েন্ট সাত খেলায় সমান ছয় করে। খেলার চতুর্থ রাউন্ডে ফাহাদকে হারায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের ছেলে তাহসিন। তবে টাইব্রেকিংয়ে ফাহাদ প্রথম ও তাহসিন দ্বিতীয় হয়।
প্রতিযোগিতায় ফাহাদই এই অঞ্চলের বেশি রেটিংধারী দাবাড়ু (২৩১৯)। অনুমিতভাবেই সে প্রথম হয়েছে। আর বাংলাদেশের অপর দাবাড়ু স্বর্ণাভ চৌধুরী সাড়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে অষ্টম।
বাংলাদেশের নোশিন আঞ্জুম বালিকা বিভাগে সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট পেয়েছে। বাছাই পর্বে সে রানারআপ। আর শ্রীলঙ্কার জয়াভিরা সাযুনি জিহানসা ছয় পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট পেয়ে সে দেশের আরেক দাবাড়ু দাহামপ্রিয়া এইচ, কে, টি, দেবনেথমাই তৃতীয় হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের ওয়ালিজা আহমেদ পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ও ওয়ারসিয়া খুশবু সাড়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হয়েছে। তারা দুজেই বাছাই পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। আগামী ৩ জুন বালিকা বিভাগ এবং ৪ জুন বালক বিভাগের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সুইস লিগ ভিত্তিতে খেলায় ৯ রাউন্ডের চূড়ান্ত পর্বে ২১ জন করে দাবাড়ু খেলবে।
করোনাভাইরাসের কারণে এশিয়ান জুনিয়র চ্য্যাম্পিয়নশিপ অনলাইনে আয়োজন করছে বিশ্ব দাবা সংস্থা বা ফিদে। বালক ও বালিকা বিভাগে এশিয়ান জোন-৩.২-এর বাছাইপর্বে খেলা হচ্ছে। বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের ১৫ জন করে দাবাড়ু দুই বিভাগে এতে অংশ নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, বালক বিভাগে তিন হাজার এবং বালিকা বিভাগে দেড় হাজার ডলার পুরস্কার থাকছে। এ ছাড়া বিজয়ীরা পাবে সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক।