হাজারো কর্মহীন পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে ‘সাধারণ’
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২০, ০৭:২২ PM , আপডেট: ১১ মে ২০২০, ০৭:২২ PM
করোনার প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা পুরো বিশ্ব। লক ডাউন পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে পড়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যখন দেশব্যাপী বেড়েই চলছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা, ঠিক তখন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় এক অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘সাধারণ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক সালমান হাসান ডেভিড (মারজান)-এর উদ্যোগে প্রায় ১৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাধারণ’। সংগঠনটি ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার ৭০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
‘সাধারণ’ সংগঠনের আওতায় পাঁচ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উলিপুর উপজেলায় ৮৪ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এই সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর বাইরে যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সুবিধা সেবা পাচ্ছে না, তাদেরই খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে ‘সাধারণ’ সংগঠনটি। ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে সরকারি সুবিধা আওতার বাইরে থাকা মানুষগুলোর তালিকার মাধ্যমে তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে তারা।
জানা গেছে, সংগঠনটি এসব খাদ্য সহায়তা ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার’ নামে বিতরণ করছে। তারা ধারাবাহিকভাবে ৩৫০-৪০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা করে আসছে গত ২ এপ্রিল থেকে। সারাদিন সংগঠনটির ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে এসব উপহার সামগ্রী প্যাকেট করা হয়। পরবর্তীতে রাতের আধারে সেহরীর আগ মুহুর্ত অব্দি উপহার সামগ্রীগুলো বিতরণ করা হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
এ বিষয়ে সালমান হাসান ডেভিডের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার এই সংকটকালে মানুষকে কিছুটা সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই ‘সাধারণ’ এর প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে এই সংকট মোকাবিলা করছেন, তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহণ।
তিনি বলেন, এ কারণে তাঁর নামেই আমরা এই উপহারসামগ্রী বিতরণ করছি। আমাদের এই কার্যক্রম সাধ্যমতো আমরা অব্যাহত রাখব আগামীতে, যতদিন করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতি থাকবে।
এছাড়াও তিনি সংকটকালীন এই মুহূর্তে সমাজের বিত্তবানদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংগঠনটিতে যে কেউ স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে পারে আর্থিক অথবা শারীরিক সহযোগিতার মাধ্যমে।