বিসিবি সভাপতি হচ্ছেন মাশরাফি!
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে ধরা হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান মাশরাফি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দল থেকে বাইরে চলে যান কয়েক বছরের জন্য। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে আবারো বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি।এরপর থেকেই পাল্টাতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র।২০১৬ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়লো ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যান মাশরাফি।
টি-টোয়েন্টি পর এবার ওয়ানডে ক্রিকেটে ও সমাপ্তি টানলেন মাশরাফি। মাশরাফি আর খেলতে না পারলেও তাকে যোগ্য মর্যাদার স্থানে বসানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। শনিবার হাতিরঝিলে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনকালে এ কথা জানান তারা।
এর আগে শুক্রবার (৬ মার্চ, ২০২০) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।
সবশেষ কিছু ম্যাচে ফর্ম না থাকায় অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়েই গেল কিছুদিন ধরে বেশ সমালোচনা হচ্ছিল। এখন অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন।তবে গুঞ্জন উঠছে খেলোয়াড় মাশরাফি কি বাংলাদেশ দলে জায়গা পাবেন? তারই প্রেক্ষিতে এ বক্তব্য দিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল।
অধিনায়কত্ব থেকে বিদায়ের বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘মাশরাফি দেশের ক্রিকেটারদের আইকন। আমরা তাকে সর্বোচ্চ জায়গায় দেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করতেছি। মাশরাফিকে আমরা তার যোগ্য মর্যাদার স্থানেই বসাবো’।
বিসিবি এবং আইসিসি’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘মাশরাফি সবার আইকন। মাশরাফি তার জায়গাতে সব সময় সেরা। সেই অধিনায়কত্ব ছেড়েছে, এখন এমপি। তার সাথে আমাদের সবসময় যোগাযোগ ছিল, আছে। তাকে আমরা সর্বোচ্চ মর্যাদাই দেব।’ আর সেই সর্বোচ্চ সম্মান হতে পারে বিসিবি সভাপতি।
এদিকে মাশরাফির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে সেদিন দেশের সব রাস্তা গিয়ে মিশেছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। বৃষ্টি বিঘ্নতা ঘটালেও স্টেডিয়াম ছাড়েননি তারা।