স্কুলে ‘সোলার ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন’ বসালেন মিমি
ঋতুস্রাবের দিনগুলোতেও যাতে মেয়েরা স্কুলে আসতে পারে। সে জন্য বালিকা বিদ্যালয় তথা কো-অ্যাড স্কুলগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য একটি করে ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবস্থা করেছেন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
রবিবার ভারতের আখড়া সন্তোষপুরের বনহুগলির একটি স্কুলে অভিনব ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মিমির সংসদীয় এলাকায় এই উদ্যোগে খুশি জনসাধারণ তথা বিদ্যার্থীরা। পাশাপশি মিমি নিজেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ককে। আগামী দিনে আরও ৩০টি স্কুলে বসানো হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। স্কুলের মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ তহবিলের টাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার আখড়া সন্তোষপুরের বনহুগলিতে বলরামপুর মন্মথনাথ হাই স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। ১০ টাকায় পাওয়া ডাবে তিনটি প্যাড। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই স্কুলে সহজলভ্য করা হয়েছে প্যাড। যাতে ছাত্রীদের পকেটে টান না পড়ে, তা ভেবেই যথাযথ দাম নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত। মেশিনে ১০ টাকার কয়েন ফেললেই মিলবে তিনটি স্যানিটারি ন্যাপকিন।
অন্যদিকে, পরিবেশন দূষণের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। ব্যবহৃত প্যাড থেকে পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেরকম সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয়, সেইজন্যই ব্যবহৃত প্যাড ‘ডাম্প’ করারও মেশিন রয়েছে। যা পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। এছাড়া এই মেশিনের বিশেষত্ব, এটি পুরোপুরি সৌরশক্তিতে চলবে।
উল্লেখ্য, স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে এখনও গ্রামবাংলা কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানারকম ট্যাবু রয়েছে। ন্যাপকিন ব্যবহারের সচেতনার অভাবে অনেক মেয়েদেরই কম বয়সে রোগের শিকার হতে হয়। অনেকেই আবার সে সমস্ত বিশেষ দিনগুলিতে স্কুলে আসতে চায় না। সেই জায়গা থেকেই মেয়েদের কথা ভেবে স্কুলে-স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর ‘সুকন্যা’ সংস্থা। রবিবার আখড়া সন্তোষপুরের বনহুগলির একটি স্কুলে অভিনব ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করলেন যাদবপুরের সাংসদ।