পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা
পাকিস্তানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের বহর লাহোর বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে লাহোরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য, মিঠুন, মোস্তাফিজ ও শফিউলরা।
খোশমেজাজে ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল। চাচা আকরাম খানের সাথে গল্পে মজেছিলেন তামিম। উপভোগ করেছেন যাত্রা পথ। এছাড়া পাকিস্তান যাত্রায় চাটার্ড বিমানে ক্রিকেটার নিরাপত্তা কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কেক কেটে ভ্রমণের ক্লান্তি ও উৎকণ্ঠা দূর করার চেষ্টা করেন বিমানের কর্মকর্তারা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলার বছর না পেরুতেই। পাকিস্তানের এক ভীতির সফর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। অনেক জল ঘোলা হবার পর এ সফর। তাই সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে চার্টার্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই যাত্রায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিমানের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন। পাকিস্তান যাত্রায় পুরো দলকে একসাথে পেয়ে ফ্রেম বন্দীর আয়োজন করা হয়।
সাবেক ক্রিকেটার ও বিমানের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, বিমানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা তাদের পাকিস্তান নামিয়ে দিয়ে আসবো। এবং টুনার্মেন্ট শেষে আবারও তাদের সাথে নিয়ে আসবো।
সাবেক ক্রিকেটার ও বিমানের কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ঝড়ু বলেন, বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার থেকে শুরু করে অনেকেই বিমান টিমে খেলেছে। কিন্তু বিমান স্পোর্টস টা আগের মতো নেই। তবে এখন আবারও নতুন করে বিমান কর্তৃপক্ষ এই স্পোর্টসটা শুরু করেছে।
বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে আমাদের আপ্যায়ন করা হয়েছে। তাই তাদের অনেক ধন্যবাদ। তারা একটা উইশ করেছে, আমরা সেই উদ্দেশ্যেই যাচ্ছি। তাই সবসময় আমরা চাই বাংলাদেশ বিমানের সাথে যেনো থাকি।
বিসিবির ভাড়া করা বোয়িং বিজি-৬০০১ চাটার্ড বিমানের ১৬২ আসনের মধ্যে ক্রিকেটার, বিসিবি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল এবং সাংবাদিক মিলে আরোহী ছিলেন ৪৭ জন।