চলে যাওয়ার ছয় বছর পার হলো সুচিত্রা সেনের
বাংলা সিনেমার মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের আজ ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। চলে যাওয়ার ছয় বছর পার হলেও বাঙালির হৃদয়ে এখনও গেঁথে আছেন তিনি। রুপালি পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন মহানায়িকা। প্রায় তিন দশক সিনেমা জগতে অভিনয় করেছেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
বাংলাদেশের পাবনা জেলায় ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় তার নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ও মা ইন্দিরা দেবীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট সন্তান। বাবা ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার শৈশব ও শিক্ষাজীবন কেটেছে পাবনাতেই।
১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দীবানাথ সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম রুপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম করেন তিনি। এ সময় তার নাম বদলে হয় সুচিত্রা সেন। কিন্তু তার প্রথম অভিনীত সেই সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি।
১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমা করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। এরপর থেকে উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে উপহার দিয়েছিলেন একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। তিনি শুধু বাংলা সিনেমায়ই নন, হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘দেবদাস’ (১৯৫৫)। সুচিত্রা সেনের শেষ সিনেমা ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরই তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।