বিসিবির খাবার খেয়ে অসুস্থ ২০ ক্রীড়া সাংবাদিক
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাংবাদিকদের জন্য খাবার সরবরাহ করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পেশাদার কাজে প্রেসবক্সে আসা বেশ কয়েকজন ক্রীড়া সাংবাদিক। রাজধানীর সেভেনহিল রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের জন্য এসব খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল।
বিপিএলের শুরু থেকেই খাবার নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল সাংবাদিকদের। গত শুক্রবার দুপুরের খাবার ও সন্ধ্যার নাস্তা খেয়ে বাসায় ফেরার পর রাতে প্রায় ২০ জনের বমি ও পাতলা পায়খানা হতে থাকে। অসুস্থতার কারণে শনিবার মিরপুরে ম্যাচ কাভার করতে আসতে পারেননি কয়েকজন।
শুক্রবার দুপুরে মারা যাওয়া তরুণ ক্রীড়া সাংবাদিক অর্ণব মজুমদার দীপায়ন (২৭) বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামে পেশাদার কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার পর পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। পরদিন বাসার পাশের একটি ফার্মেসিতে ঔষধ কিনতে গিয়ে জ্ঞান হারান অর্ণব। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ ক্রীড়া প্রতিবেদক। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।
ডেইলি স্টার অনলাইনের ক্রীড়া প্রতিবেদক একুশ তাপাদার বিসিবির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর বেরিয়ে আসে ভয়াবহ চিত্র। তিনি লেখেন, ‘বিপিএলে দুপুরে সাংবাদিকের জন্য যে লাঞ্চ রাখা হয় তা মোটেও স্বাস্থ্যকর না। বেশ আগে রান্না করা ও প্যাকেটে থাকা সে খাবার ঠাণ্ডা। এই খাবার খেয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের একজন সহকর্মী অসুস্থ-বোধ করেন। আমরা আরও অনেকেই এ ক’দিন এই খাবার খেয়ে অস্বস্তি বোধ করেছি। আজ তাই আমরা অনেকেই বাইরে গিয়ে খেয়ে এসেছি। ম্যাচ কাভার করতে এসে বাইরে গিয়ে খাওয়া আমাদের পেশাজনিত কারণে একটা সমস্যা। খেলার অনেক কিছু মিস হয়ে যায়। অনুরোধ থাকবে, বিসিবি খাবার দেন ভালো কিন্তু সে খাবার যেন হয় ফ্রেশ। বেশি কিছু না- ভাত, ডিম ডালই দেন তবে তা যেন হয় ফ্রেশ।’
ওই সাংবাদিকের মন্তব্যের পর যারা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন তারা একে একে গ্রুপে জানান নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। তাদের অভিযোগ, বাসি খাবার খাওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। বিসিবির সরবরাহ করা খাবার স্বাস্থ্যকর না হওয়ায় অনেকেই হোটেল থেকে খেয়ে আসছেন মাঠে। বাসা থেকেও খেয়ে আসছেন কেউ কেউ।
বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানান, তার ডিপার্টমেন্টের (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন) কয়েকজনও নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেভেনহিলের খাবার খেয়ে। তিনি জানান, এই খাবার বন্ধ করে দেয়া হবে। লজিস্টিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্য কোথাও থেকে খাবার আনা হবে।’