ইনিংস ব্যবধান এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসের কম সংগ্রহ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে তারই ধারাবহিকতায় ইনিংস ব্যবধানের পরাজয় এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ।
ভারতের ইনডোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ইনিংস এবং ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মুুমিনুলরা। এর মাধ্যমে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২১৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০ বলে ৬৪ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।
মাঝে মুশফিকের সাথে মিলে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধান এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন দাস করেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করে। মিরাজ ফিরেন ৫৫ বল থেকে ৩৮ রান করে। পরে মুশফিকের সাথে তাজুল ইসলাম যোগ দিয়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করলেও বেশি দূর এগোতে পারেন নি তারা।
এর আগে ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে গতকাল শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে ভারত। শনিবার তৃতীয় দিন আর ব্যাট করতে নামেনি কোহলির দল। গতকালের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান নিয়েই ইনিংস ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ইন্দোরে ভারত বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ সবাই যখন ধারণা করছিল যে, তৃতীয় দিন ভারত তাদের লিডটাকে আরো বড় করবে। তখন আচমকাই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতীয় অধিনায়ক। যার ফলে কঠিন এক পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
তবে এই টেস্টে ইতিবাচক ফল আনতে হলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে মুমিনুলদের। এখনো পুরো তিনটি দিন বাকি এই ম্যাচের। এমন পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসের মতোই অদূরর্শীতার পরিচয় দিলো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা।
দলীয় ১০ রানের মাথায় ইমরুল কায়েস ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। ১৬ রানের মাথায় ৬ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরেন মুমিনুল হক। ৪৪ রানের মাথায় ১৮ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন। ৭২ রানের মাথায় ১৫ রান করে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক-লিটন দাস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও জুটি বড় করতে পারেননি। ৬৩ রানে ভাঙে দু’জনের জুটি। ১৩৫ রানের মাথায় ৩৫ রান করে লিটন ফিরলে জুটি ভাঙে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান। ভারতের সংগ্রহ ১১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রান।