চাইলেই লোকমানকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়: পাপন
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে কারাগারে থাকা বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে এখনই সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। লোকমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তাকে বিসিবির পদ থেকে বহিস্কার না করায় নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পাপনের দাবি, এতে আইনগত বাঁধা আছে। গঠনতন্ত্র আরও ভালোভাবে বুঝে, আইন-কানুন জেনে সময়মতো এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি বিসিবি সভাপতির জুয়া খেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং এ নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মন্তব্যও করেছেন। লোকমান প্রসঙ্গে পাপন বলেন, এখন আমরা মনে করছি যে আরও কিছুদিন সময় নেওয়া দরকার। একজন কাউন্সিলকেও চাইলেই বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। সে তো কাউন্সিলর বটেই, পাশাপাশি নির্বাচিত পরিচালকও। একজন নির্বাচিত পরিচালককে বাদ দেওয়া খুবই কঠিন। আমরা আগে আইন-কানুন জানার ও বোঝার চেষ্টা করছি যে কী করা যায়। সময়মতো সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, আমরা নেব।
লোকমান ধরা পড়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে পাপন বলেছিলেন, তার বহুদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লোকমান জীবনে মদ খাননি, জুয়া খেলেননি। যদিও গত ২৬ সেপ্টেম্বর মনিপুরীপাড়ার বাসা থেকে লোকমান র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় ৫ বোতল মদও পাওয়া গিয়েছিল। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইন চার্জ লোকমানই ক্যাসিনোর জন্য ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। ক্যাসিনো ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা পেতেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার দুটি ব্যাংকে তিনি ৪১ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন লোকমান।
১৯৯৪ সাল থেকে দেশের ফুটবল অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত লোকমান হুট করেই ২০১২ সালে ক্রিকেটে আসেন। অভিযোগ উঠেছে, পাপনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই লোকমান বিসিবিতে জায়গা করে নিতে পেরেছেন।
তবে পাপন বলেন, আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। কতগুলো আইন আছে, যে আইন আমার করা নয়। আমাদেরকে আইন মেনে চলতে হবে। যে গঠনতন্ত্র আমাদের আছে এখন, সেটি আইসিসির অনুমোদন নিয়ে করতে হয়েছে। কাজেই আমরা এমন কিছু করতে যাব না, যাতে কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেট বিপদে পড়ে। যখন যেটা করা উচিত ও করা সম্ভব, সেটি আমরা করব।