২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব: আইসিসি
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:২১ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৭ PM
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট ফর্মেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছর জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আইসিসি ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আইসিসি দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ স্বীকার করার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সাকিবের স্থগিতাদেশের শর্ত পূরণ করে তাঁর শর্ত সাপেক্ষে তিনি পুনরায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরায় শুরু করতে পারবেন।
আকসুর ধারা ২.৪.৪ আর্টিকেলের মধ্যেই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে-
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।
সাকিবের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, সাকিব আল হাসান একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি অনেকগুলো শিক্ষামূলক অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন এবং কোডের আওতায় তাঁর বাধ্যবাধকতাগুলো জানেন। আইসিসির এ আইন সম্পর্কেও তার জানা উচিৎ ছিল।
তিনি বলেন, সাকিব তার ত্রুটিগুলো বুঝতে পেরেছেন। তার অনুধাবন প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে ক্রিকেটকে সহায়তা করবে। তরুণ খেলোয়াড়দের তার ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সহায়তা করবে।