১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৪৩

সাকিবের এক ওভারের ঝড়েই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে

  © সংগৃহীত

ম্যাচের ১৭তম ওভার শেষে হঠাৎ করেই মাঠে আলো নেই। চারপাশে অন্ধকার। তার আগে চোখে অন্ধকার দেখছিলেন বাংলাদেশের বোলাররাও। শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের হাতে খেতে হয়েছে বেধড়ক পিটুনি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাঁর শেষ ওভারে একাই দিয়েছেন ৩০ রান! ইনিংসের শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের এমন নখদন্তহীন বোলিংয়েই সংগ্রহটা সন্তোষজনক জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছে দলটি।

বাজে আবহাওয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ ম্যাচ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে। ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয় ১৮ ওভারে। আগে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই তুলে নেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরকে।

এরপর একটা সময় পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে ভালোই চেপে ধরেছিলেন বোলাররা। কিন্তু খেই হারানোর শুরু ১৫তম ওভার থেকে। তার আগে ১৪তম ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৮১। অর্থাৎ শেষ চার ওভারে ৬৩ রান দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

১৫তম ওভারে ওভারে ১৪ রান দেন মোস্তাফিজ। তবে মূল ঝড়টা গেছে পরের ওভারে সাকিবের ওপর দিয়ে। এই এক ওভারেই (১৬তম) সাকিবকে বেধড়ক পিটিয়ে ৩০ রান তুলে নেন রায়ান বার্ল। নিজের প্রথম তিন ওভারে ১৯ রান দেওয়া সাকিবের এ ওভারে রানসংখ্যা—৬,৪,৪,৬,৪,৬! সাকিবের এ ওভারের আগে ২২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন বার্ল।

কিন্তু সাকিবের ওই ওভারেই ফিফটি তুলে নেন তিনি। সাইফউদ্দিন এসে পরের ওভারে দিয়েছেন ১১ রান। এরপরই নিভে যায় ফ্লাড লাইটের আলো। শেরেবাংলা স্টেডিয়াম মিনিট দশেক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকার পর আবার শুরু হয় খেলা। মোস্তাফিজ শেষ ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। ৩২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন বার্ল। অন্য প্রান্তে ২৬ বলে ২৭ রান করেন মুতোম্বজি। ষষ্ট উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৮১ রান তোলেন দুজন।

এর আগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই টেলরকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল। সপ্তম ওভারে ক্রেগ আরভিনকে তুলে নেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন আরভিন (১১)।

এরপর অষ্টম, নবম ও দশম ওভারে উইকেটের দেখা পায় সাকিবের দল। টানা চার ওভারে চার উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ভালোই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারেননি বোলাররা। ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন সাকিব। ৩ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট নেন তাইজুল। সাইফউদ্দিনও ৪ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। ৩ ওভারে ১০ রানে ১ উইকেট মোসাদ্দেকের। আর মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩১ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।