শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষার্থী
এইচএসসি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়মিত মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ১৫ দিন পর পরীক্ষা নিতে আমরা প্রস্তুত আছি। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, এ বছরের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে যে, স্কুলগুলো নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে পারবে। যেহেতু পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কিনা- এখনও জানি না, তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে নভেম্বরের দিকে স্কুলগুলো খুলে দিতে পারলে ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা নেয়া হবে।

এছাড়া অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে মূল্যায়ন পরীক্ষা ছাড়া কোন সুযোগ থাকবে না। অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস, সংসদ টিভির ক্লাসকে প্রাধান্য দেয়া হবে’।

তিনি বলেন, অটো প্রোমোশন বলতে কিছু নেই। মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরবর্তী ক্লাসে উঠতে হবে। সবকিছুই মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে। তবে কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে- সে বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে ক্লাসেই পরীক্ষা হবে। যদি সেই অবস্থা তৈরি না হয়, তবে অনলাইনে মূল্যায়ন হতে পারে। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখন অনলাইনে ক্লাস চলছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধাপক মো. আব্দুল আলীম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কী কী পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রস্তুত রয়েছে। কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সরকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিলে আমরা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে পারব।

তিনি বলেন, এখন পাবলিক পরীক্ষা আগের মতো নেয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বেঞ্চে একজন বা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ