‘এইচএসসি পরীক্ষা নিতে বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে’
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করা হবে। আমাদেরকে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে- সে সম্পর্কে কোনো অলোচনা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধাপক মো. আব্দুল আলীম
তিনি বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বের মতো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন অথবা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা নিতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রস্তুত রয়েছে। সরকার পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে আমরা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে পরীক্ষা নিতে পারবো।
এদিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সভা শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, মূল্যায়ন পরীক্ষা ছাড়া অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ নেই। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস, সংসদ টিভির ক্লাসকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে অটো প্রমোশন হবে না, যে কোনো পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন হবে। এছাড়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়ে মাউশি থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জিয়াউল হক বলেন, অটো প্রোমোশন বলতে কিছু নেই। মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরবর্তী ক্লাসে উঠতে হবে। সবকিছুই মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে। তবে কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে- সে বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি।
তার বক্তব্য, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে ক্লাসেই পরীক্ষা হবে। যদি সেই অবস্থা তৈরি না হয়, তবে অনলাইনে মূল্যায়ন হতে পারে। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখন অনলাইনে ক্লাস চলছে।