সাত ব্যাংকের পরীক্ষা নভেম্বরে নেয়ার পরিকল্পনা
করোনাভাইরাসের কারণে আটকে যাওয়া সরকারি সাত ব্যাংকের পরীক্ষা আগামী নভেম্বরে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশে চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১২ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব আরিফ হোসেন খান।
জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে সাতটি (০৭) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার এর ৭৭১ টি শূন্যপদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদনকৃত প্রার্থীদের প্রবেশপত্র আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাউনলোড করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, আমরা সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে বলেছি। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা প্রার্থীদের একটি প্রকৃত তালিকা পেয়ে যাবো। এরপর আমরা পরীক্ষা আয়োজনের জন্য টেন্ডার আহবান করব। আশা করছি পুরো প্রক্রিয়া অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এর পর নভেম্বরে আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।
ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত আমরা কেউ নিরাপদ না। এক্ষেত্রে পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা? জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে পরীক্ষার আয়োজন করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আমাদের পরীক্ষার্থী যদি দেড় লাখ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে হয়তো অনেক বেনামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই ত্যাগ শিকার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জনবল নিয়োগ দিতে সুপারিশ করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয় (বিএসসিএস)। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সচিবালয় চাহিদা পাওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর এই প্রক্রিয়া এগোয়নি। তবে সম্প্রতি লিখিত ও এমসিকিউ পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলায় চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।