পিইসি-ইইসি পরীক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন উদ্যোগ
করোনাভাইরাসে কারণে দীর্ঘদিন দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে পিইসি-ইইসি-জেএসসি-জেডিসিসহ কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। এ ক্ষতি থেকে পুষিয়ে নিতে এবার বিকল্প পন্থা হিসেবে বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন নীতি নির্ধারকরা।
জানা গেছে, এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিজ নিজ বিদ্যালয়েই করা হবে। আর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্ধারণ করবেন মূল্যায়ন পদ্ধতি। বিদ্যালয় কবে খুলবে তার ওপরই নির্ভর করবে বার্ষিক পরীক্ষা নেবেন কি-না, কিংবা নিলে কতটুকু সিলেবাসে নেবেন।
এর ভিত্তিতেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা। পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা না থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন তাদের বিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিপিই'র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা চলতি বছর নেওয়া হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের যতটুকু পড়ানো হয়েছে, তার ওপর মূল্যায়ন করতে প্রধান শিক্ষক উদ্যোগ নেবেন। পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে শিক্ষার্থীদের। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিসেম্বরের আগে খোলা না গেলে প্রাথমিকে সব শিশুকে অটো পাস দিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের নিজস্ব কোনো বোর্ড নেই। তাই সবকিছু শিক্ষা অধিদপ্তরকে করতে হয়। এ বছর অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। তাই বোর্ডগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করবে, সে বিষয়ে আমরা পরামর্শ নেব। আগামী সপ্তাহে অধিদপ্তরে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, গত ২৫ আগস্ট প্রাথমিক সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়াও অন্য ক্লাসের পরীক্ষাগুলোও নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা বাতিল হলেও কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।