৭শ নম্বরে ৬৯৪ পেয়ে মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র
পশ্চিমবঙ্গে এ বছর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির অরিত্র পাল। সে মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র।
আজ বুধবার মাধ্যমিকের প্রকাশিত ফলে জানা গেছে, প্রথম স্থান অর্জন করা অরিত্র তিনটি বিষয়ে একশোতে একশোই পেয়েছে। গণিতে সে ১০০ তে ১০০ ই পেয়েছে। একইভাবে ইতিহাস এবং ভূগোলেও সে ১০০ করে নম্বর পেয়েছে। ইংরেজিতে সে পেয়েছে ৯৯ নম্বর। বাংলায় পেয়েছে ৯৮ নম্বর। ফিজিক্যাল সায়েন্সও সে পেয়েছে ৯৮ নম্বর। জীববিজ্ঞানে অরিত্র পেয়েছে ৯৯ নম্বর।
মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া অরিত্র জানান, মাধ্যমিকেরের টেস্টের পর তার পড়াশোনার সময়সীমা আরও বেড়ে গিয়েছিল। দিনে সতেরো আঠারো ঘণ্টা পড়াশোনার মধ্যেই থাকতো সে। সকাল বা রাতে বাঁধাধরা পড়ার রুটিন ছিলো না। খুব গভীর রাত পর্যন্ত সে পড়াশোনা করেনি। তবে রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দেড়-দুঘণ্টা পড়াশোনা চলত।
মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দু’জন— বাঁকুড়ার সায়ন্তন গড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের অভিক দাস। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ৬৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তিন জন। তারা হল বাঁকুড়ার সৌম্য পাঠক, পূর্ব মেদিনীপুরের দেবষ্মিতা মহাপাত্র, উত্তর ২৪ পরগনার অরিত্র মাইতি। এ বছরের মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মোট স্থান পেয়েছেন ৮৪ জন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত নিজের স্কুলে ভর্তি হতে পারবে শিক্ষার্থীরা। যাঁরা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে চায়, তাদের জন্য ১১ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর পঠনপাঠন শুরু হবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। গত বারের তুলনায় এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার কমলেও, ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। এ বছর ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন ছাত্র পরীক্ষায় বসে। মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ জন।