নভেম্বরের মধ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের স্থগিত পরীক্ষা
মহামারি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী নভেম্বরের মধ্যে বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। তবে এর আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষাগুলো আগেই নেয়া হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে আটকে গেছে ৩৮, ৪০, ৪১তম বিসিএস ও নন-ক্যাডার চাকরির পরীক্ষাসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ১৩টি পরীক্ষা। পিছিয়ে গেছে খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা, ব্যান্সডকের লিখিত পরীক্ষা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরীক্ষা। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ অনেকগুলো সরকারি চাকরি পরীক্ষা প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত আছে।
বুধবার (২৪ জুন) স্থগিত পরীক্ষাগুলো কবে নেয়া হবে-জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাটা সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে হয়ে থাকে। আশা করি, অবস্থার পরিবর্তন হলে বিসিএস পরীক্ষাটা নভেম্বরের মধ্যেই নিতে পারব। আর অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে যাদের আবেদন করা আছে, তারা যখনই পরীক্ষা হবে তখনই তারা পরীক্ষা দিতে পারবে। অবস্থা যদি আগেই ভালো হয়ে যায়, তবে তো সেপ্টেম্বর/অক্টোবরেই অন্যান্য পরীক্ষাগুলো নেয়া যাবে।
তিনি বলেন, সবকিছুই পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যে যদি সব শেষ হয়ে যায়, আমরা মোটামুটি ভালো পর্যায়ে চলে যাই তখন তো স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু হবে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারো নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স শিথিলের উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চাইব। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি যদি পাই তাহলে আপৎকালীন সময়টুকুতে বয়স শিথিল হবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি, চাকরি প্রার্থীদের জন্যও সুযোগ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।