বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুরা আগের মতো সময় পাবে না: শিক্ষামন্ত্রী
করোনা প্রাদুর্ভারেব কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমনকি স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও। কবে নাগাদ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তাও বলতে পারছেন কেউ। এদিকে ঘরবন্দি থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের ফাঁকে ফাঁকে প্রস্তুতি পর্ব সেরে ফেলতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কেননা অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার এইচএসসি পরীক্ষার পর যথেষ্ট সময় হাতে থাকবে না।
বিগত বছরগুলোতে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হয়। আর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে জুলাই মাসের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার নেয়া যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের চলমান ছুটির সময়ে প্রস্তুতি পর্ব সেরে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন ডা. দীপ মনি। তিনি বলেন, এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য খুব কম সময়ই পাবেন। এখন কোভিডের কারণে যে সময় নষ্ট হচ্ছে তা সেসময় পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করব। স্বাভাবিক সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর যে সময়টুকু পান, তা এবার পাবেন না। কাজেই এখনই এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বজায় রেখে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতিও নিতে থাকেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার কারণে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা নতুন তারিখ অন্ততপক্ষে পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। হুট করে আজকে বলব না যে কালকে পরীক্ষা। যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতিটুকু আরও ভালো করে নিতে পারেন।
শনিবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিয়মিত আয়োজন ‘ক্যাম্পাস টক’ এর ফেসবুক লাইভে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন নিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
এসময় ঘরবন্দি পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে ডা. দীপু মনি বলেছেন, হঠাৎ পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে, একটা ভীষণ রকম হতাশা কাজ করে। আমি নিশ্চিত যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরও একই অবস্থা। আপনাদের জায়গায় থাকলে আমিও একই রকম বোধ করতাম।
এই অবস্থায় আমি আপনাদের বলব- একটা পাবলিক পরীক্ষা যেখানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে পরিবার, শিক্ষকরা মিলে আরও কয়েক লাখ। আর করোনার এই সংকটে এতো লক্ষ মানুষকে নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করে এতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না। অধিকাংশদের গণপরিবহন ব্যবহার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে হবে, তাহলে তাদের বিপদ আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরাসহ পরিবারের সদস্যরাও ঝুঁকিতে পড়বেন। তাদের মাধ্যমে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন। সুতরাং এই রকম একটি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে যাওয়ার মতো অবস্থা এখন আমাদের নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই কারণে এই মুহূর্তে পরীক্ষাটি নেয়ার ব্যাপারে আমরা কিছু করতে পারছি না। যখন পরিবেশ আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। যখন পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তখন অবশ্যই আমরা পরীক্ষা নেব। আর আমরা পরীক্ষা নেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। তারপরে কোভিডের কারণে এটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রস্তুতি বজায় রাখবে।