ভাইরাল বক্তব্যটি বকশীবাজার মাঠ রক্ষা আন্দোলনের, তেঁতুলতলার নয়

  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি “ঢাকার কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনে এক শিশুর প্রতিবাদী বক্তব্য” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে শিশুর বক্তব্যটি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের কোনো ঘটনার নয় বরং এটি কয়েক বছর আগে পুরান ঢাকার বকশীবাজার মাঠ রক্ষা আন্দোলনের ঘটনায় ধারণকৃত একটি ভিডিও।

নাগরিক টিভির ফেসবুক পেজে গত ২৬ এপ্রিল রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে “খেলার মাঠ না থাকলে কি আমরা মোবাইলে ভিডিও গেম খেলবো। মনে আছে এই শিশুর কথা?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই ভিডিওটির ১৬ সেকেন্ডের মাথায় ইউনিফর্ম পরিহিত একদল শিক্ষার্থী একটি ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যানারটিতে লেখা রয়েছে, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন। বকশীবাজারে অবস্থিত মাঠ হতে অস্থায়ী স্থাপনা অপসারণ করে এবং সেখানে নতুন ভাবে সকল ধরনের ভবন স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে  এলাকাবাসীদের খেলাধুলা এবং সুস্থ মানসিক বিকাশে সহায়তা করুণ। নবকুমার ইনষ্টিটিউশন ও শহীদুল্লাহ কলেজ, বকশিবাজার, ঢাকা”।

নাগরিক টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারের পরবর্তী সময়ে ওই ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ভিডিওটি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে ভিডিওটিকে সাম্প্রতিক সময়ে কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনের ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও ভেবে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করছেন।

এছাড়াও, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগরিক টিভির ফেসবুক পেজ হতে “রাজধানীতে কমে যাচ্ছে খেলার মাঠের সংখ্যা” শীর্ষক শিরোনাম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বর্তমানে আলোচিত শিশুটির একটি বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত , ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ও নবকুমার স্কুল সংলগ্ন মাঠ হতে অস্থায়ী স্থাপনা অপসারণ এবং ভবিষ্যতে মাঠে নতুন কোনো স্থাপনা না করার দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ওই কর্মসূচি চলাকালীন এক শিশু শিক্ষার্থীর বক্তব্য প্রদানের সময় ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচিতে দেওয়া শিশুর বক্তব্য দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।