‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালকের শাস্তির দাবি
‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)। এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বিত এই জোটটি। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা পাখিকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা ও পুড়িয়ে খাওয়ার মত দৃশ্যের জন্য সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের শাস্তি দাবি করেছেন।
৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতিতে সিনেমা থেকে পাখির দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেনে। ‘হাওয়া’তে দেখানো হয়েছে, মাছ ধরা বোট নয়নতারার সরদার চান মাঝি (চঞ্চল চৌধুরী) একটা পাখি পোষে। একসময় সমুদ্রে পথ হারিয়ে চান মাঝি শালিকটিকে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু পাখিটি আবার বোটেই ফিরে আসে। কিন্তু বোটে নেই খাবার। কিছুক্ষণ পর চান মাঝি সেই পাখিটিকে পুড়িয়ে খেয়ে ফেলেন।
বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের আহবায়ক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেছেন, "আমাদের আইনে বলা আছে, বন্যপ্রাণী বহন, আটকে রাখা, প্রদর্শন করা আইনের পরিপন্থী। আমরা যতদূর জানি, এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।"
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’র নতুন গান ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ (ভিডিও)
তিনি বলেন, সিনেমায় একটি বন্যপ্রাণীকে হত্যা করাা হয়েছে, খাওয়া হয়েছে। সেখানে যখন দেখানো হয় যে তখন অন্য মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। এই চলচ্চিত্রটি হাজার হাজার মানুষ দেখেছেন। তার কথায়, "তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন, তাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা যাবে যে এই জাতীয় কাজ করা যায়। ধুমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু সিনেমার ওই অংশে এ ধরনের কোন বার্তা ছিল না।’’
হাওয়া সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে পরিবেশবাদীদের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চলছে পাখির অনাকাঙ্খিত দৃশ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড়। অনেকে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। ব্যবহারকারীদের যুক্তি, ‘হাওয়া’তে দীর্ঘ সময় ধরে খাঁচায় বন্দি পাখি দেখানো এবং একপর্যায়ে সেটিকে পুড়িয়ে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর জন্য পরিচালকের বড় শাস্তি হওয়া উচিত।
গত ২৯ জুলাই দেশের ২৪টি সিনেমাহলে মুক্তি পায় ‘হাওয়া’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান ও বাবলু বোস। প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সিনেমাটি ভালোই সাড়া ফেলেছে। জড়িয়েছে নানা বিতর্কেও।