‘সহযোগিতা না করে টেনে ধরলে তো সিনেমায় কাজ করতে পারব না’
‘হাওয়া’ সিনেমার নায়িকা নাজিফা তুষির ‘পরাণ’ ও ‘দিন : দ্য ডে’ সিনেমার পোস্টার সরানোকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইছে নেটদুনিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সিনেমা অঙ্গনের অনেক তারকাশিল্পীরা। সবার ভাষ্য, এটি ঠিক হয়নি। তার উচিত ছিল নিজের সিনেমার পাশাপাশি অন্যদের সিনেমা দেখার (বাংলা সিনেমা) জন্যও উৎসাহিত করা।
বিতর্কের মুখে অবশেষে সেদিনের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। তুষির ভাষ্য, ‘আমার বাসা শ্যামলীতে। এ কারণে “হাওয়া” টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সন্ধ্যার শোতে শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে যাই। হলে ঢুকে দেখি সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে এবং কয়েকজন এসে জানালেন, তারা নাকি সকাল থেকে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। সাক্ষাৎকার নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে ছবি শুরু হয়ে গেছে। আমি তাড়াতাড়ি একটা সাইডে গিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বললাম। ওখানে “দিন : দ্য ডে”, “পরাণ” ও “হাওয়া”র পোস্টার ছিল। যেহেতু আমার সাক্ষাৎকার, তাই আমার ছবির পোস্টারই রাখতে চাইলাম। তাড়াহুড়া করে কাজটি করার জন্য দ্রুতই বাকি দুটি ছবির পোস্টার একটু সাইডে সরাতে বলি। উনারাই কিন্তু পোস্টার দুটি সরালেন। সাক্ষাৎকার শেষে আবার যেখানকার পোস্টার সেখানে রাখা হয়। কিন্তু এই বিষয়টিই যে কাল হবে, বুঝিনি। এটি একটি অবাক করা ঘটনা।’
আরও পড়ুন: বিতর্কের মুখে ‘হাওয়া’র নায়িকা তুষি
এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘এসব দেখে গতকাল রাত থেকে আমার মন খুব খারাপ। আমি ছোট মানুষ। সিনেমাতে খুব কম কাজ আমার। আমাকে যদি সবাই সহযোগিতা না করে টেনে ধরেন, তাহলে তো এখানে কাজ করতে পারব না।’
ভিডিওটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তুষি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাৎকারের মধ্যে “দিন: দ্য ডে” ও “পরাণ” ছবি দুটিও দেখতে দর্শকদের অনুরোধ করেছি আমি। কিন্তু কারা যেন পুরো ভিডিও না ছেড়ে, এডিট করে ওই অংশটুকুই ছড়িয়েছে। পুরো সাক্ষাৎকার দেখলে সবার ভুল ভাঙবে।’
তুষি আরও বলেন, ‘আর “পরাণ”র পরিচালক (রায়হান রাফি) আমার বন্ধু। তাছাড়া আমিও একজন শিল্পী, অন্য শিল্পীর কাজকে কেন অসম্মান করবো? এটি খুবই দুঃখজনক।’
উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষি, নাসির উদ্দিন, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড ও নির্মাণ সংস্থা ফেইস কার্ড প্রোডাকশন।