এরপর এক এক করে কোক স্টুডিও উপহার দিয়েছে চমৎকার সব বাংলা গান। ১৩ জুলাই বিয়ের গান ‘লীলাবালি’ প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয় কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন। গানটিতে কণ্ঠ দেন ওয়ারদা আশরাফ, আরমিন মূসা, নন্দিতা, মাশা ইসলাম, রুবাইয়াৎ রেহমান, সভ্যতা, তাশফি, মাখন মিয়া ও জান্নাতুল ফেরদৌস আকবর।
কোক স্টুডিও বাংলার পুরো আয়োজনে সংগীত প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। তিনি বলেন, ‘প্রথম সিজনে দর্শকদের যে সহযোগিতা পেয়েছি, সেটা সত্যিই অকল্পনীয়। এই ভালোবাসা নিয়েই আমরা শুরু করতে যাচ্ছি দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। আমি নিশ্চিত, আমাদের মাঝে আরও প্রতিভাবান শিল্পী, কম্পোজার, মিউজিশিয়ান আছেন। আমরা তাঁদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কোলাবোরেশন করে কাজ করতে চাই। কোক স্টুডিও বাংলার জার্নির অংশ হতে চাইলে আপনারা নিজের লেখা বা সুর করা গান বা আপনি যদি খুব ভালো গাইতে জানেন কিংবা যন্ত্র বাজাতে পারেন, সেগুলো আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।’
কোক স্টুডিও বাংলার ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে গান পাঠানোর লিংক। সেখানে ভিডিও পোস্ট করে আপনিও যোগ দিতে পারেন কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় সিজনে।
প্রথম সিজন সাফল্যের সঙ্গে পেরিয়ে আসার পর দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলা। জানা গেছে, এ মৌসুমে গাইবেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। এ ছাড়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদেরও প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রথম সিজনে গান গেয়ে অনিমেষ রায়, রিপন ও কানিজ খন্দকার মিতুর মতো নতুন শিল্পী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। দ্বিতীয় সিজনে আরও ব্যাপকভাবে থাকবে নতুনদের অংশগ্রহণ।
কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনে হাজির হয়েছেন মমতাজ ও মিজান (প্রার্থনা), ঋতুরাজ ও নন্দিতা (বুলবুলি), সুমি ও র্যাপ ব্যান্ড জালালি সেট (ভবের পাগল), অর্ণব ও রিপন (চিলতে রোদ) এবং কানিজ খন্দকার মিতু ও মুর্শিদাবাদী (সব লোকে কয়)। প্রতিটি গান দারুণভাবে লুফে নিয়েছেন শ্রোতারা। গত ৯ জুন রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে যে কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও ছিল দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।