ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দক্ষিণি তারকারদের আধিপত্য
শুক্রবার বিকেলে ঘোষিত হয়েছে ভারতের ৬৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ীদের নাম। নিজের প্রযোজিত সিনেমা 'তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র' এর জন্য সেরা অভিনেতার শিরোপা জিতেছেন অভিনেতা অজয় দেবগণ। তৃতীয়বারের মতো এ পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি। এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দক্ষিণি তারকারদের আধিপত্য ছিলো বেশি।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। শুক্রবার দিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় পুরস্কার ঘোষণা। একে একে ঘোষণা করা হয় পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। ফিচার ও নন–ফিচার—দুটি বিভাগে আলাদা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
সেরা বিনোদনমূলক জনপ্রিয় ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অজয় অভিনীত ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’। এই ছবির জন্য যৌথভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন অজয়। কস্টিউম বিভাগেও জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে ছবিটি।
এবারের আসরে দক্ষিণি তারকা সুরিয়া বাজিমাত করেছেন। জনপ্রিয় এই তামিল অভিনেতা ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া তার বহুল প্রশংসিত ছবি ‘সুরারাই পতরু’র জন্য অজয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন। এবার প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় না, এটি পূর্ণিমার তৃতীয় বিয়ে
সেরা ফিচার ছবিও হয়েছে ড্রামা ঘরানার ছবিটি। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছে ‘সুরারাই পতরু’। ছবিতে ‘সুন্দরী’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন অপর্ণা বালমুরলি। এ ছাড়া সেরা চিত্রনাট্যের জন্যও পুরস্কার পেয়েছে সুধা কনগারা পরিচালিত ছবিটি। আগেই বহুল প্রশংসিত ছবিটির হিন্দি রিমেকের ঘোষণা এসেছে। যেখানে সুরিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। সুরিয়া এবং ‘সুরারাই পতরু’ ছাড়াও এবারের পুরস্কারে দক্ষিণ ভারতের তারকাদের জয়জয়কার। ‘আয়াপ্পানুম কোশিয়ুম’-এর জন্য সেরা পরিচালক হয়েছেন প্রয়াত মালয়ালম পরিচালক সচিন্দানন্দন। এ ছাড়া সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পুরস্কারও পেয়েছেন দক্ষিণি অভিনয়শিল্পীরা।
সেরা হিন্দি ছবি হিসেবে পুরস্কার জয় করেছে রাজীব কাপুর ও সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘তুলসীদাস জুনিয়র’। এদিকে জাতীয় পুরস্কারে সেরা বাংলা ছবি নির্বাচিত হয়েছে ‘অভিযাত্রিক’। অর্জুন চক্রবর্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী আর দিতিপ্রিয়া রায় এই ছবির মূল চরিত্রে আছেন। শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত ছবিটি সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্যও পুরস্কার পেয়েছে। শুরুতে এই ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল বাংলাদেশি অভিনেতা আরিফিন শুভর। ভারতের ৬৮তম জাতীয় পুরস্কারের ১০ জন সদস্যের জুরিবোর্ডের প্রধান ছিলেন নির্মাতা বিপুল শাহ। পুরস্কারে চলতি বছর ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ৩০৫টি ফিচার ফিল্ম জমা পড়ে।