কে এই জায়েদ খান, পারিবারিক পরিচয় কী?
শুধুমাত্র টেলিভিশন-চলচ্চিত্রে নায়ক নয়! বিনোদন জগতের অনেকেই শিক্ষাজীবনেও নায়ক। তবে বর্তমান সময়ে ঢাকাই সিনেমায় উচ্চশিক্ষিত তারকাদের সংখ্যা অনেক কম। অনেকেই স্বল্প সময়ে খ্যাতি পেলেও থমকে গেছে তাদের নিয়মিত পড়াশোনা। এদের অনেকেই আবার শিক্ষাজীবন নিয়ে তথ্য দিতে নারাজ। রয়েছে নানা মুখরোচক মিথ্যা তথ্যও।
সম্প্রতি বিনোদন জগতের দুই নায়ক জায়েদ খান ও ওমর সানির মধ্যকার একটি বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী নানান আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে উত্তাল পুরো মিডিয়া জগত।
তবে জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবারই নতুন নয়। এর আগেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন বিতর্কে জড়ান জায়েদ। সেই বিতর্ক এখনো আদালতে বিচারাধীন। সেই বিতর্কের রেশ না কাটতেই নতুন করে আলোচনায় জায়েদ।
জায়েদ খান রত্নাগর্ভা মায়ের সন্তান। ২০১২ সালে জায়েদ খানের মা শাহিদা হককে ‘রত্নাগর্ভা’ হিসাবে ভূষিত করা হয়। ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়ক ২০০৬ সালে চলচ্চিত্র পাড়ি জমান। এখন পর্যন্ত জায়েদ খান ২৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
প্রথম দিকে জায়েদ খান সহনায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাংলা ভাই’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। জায়েদ খান বেশ কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জায়েদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। জায়েদ খান এসএসসি পাস করার পর ১৯৯৫ সালে ঢাকায় আসেন। থাকতেন বোনের বাড়িতে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল এলাকায়। এরপর ঢাকা সিটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি।
জায়েদরা চার ভাইবোন সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। জায়েদ খানের বড় ভাই শহীদুল হক পুলিশ কর্মকর্তা, মেজ ভাই ওবায়দুল হক একজন ব্যারিস্টার এবং বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন। অন্যদিকে জায়েদের একমাত্র বোন শিরিন আক্তার বেসরকারি একটি সংস্থায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।