তরমুজ না কেনার প্রতিজ্ঞা করলেন ওমর সানী
একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী ফেসবুকে এবার তিনি মুখ খুললেন তরমুজ নিয়ে। কেজি দরে বিক্রিকে ফেরাউনের ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করেন এই নায়ক। এমনকি জানিয়ে দেন, আর কখনও এভাবে তরমুজ কিনবেন না।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সানী পোস্ট করেন, ‘ফেরাউনের প্রথম ব্যবসা ছিলো তরমুজের ব্যবসা। সে তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে পাল্লায় মেপে বিক্রি করতো। মেপে অনেক দামে বিক্রি করার কারণে, সেই সময় সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনে খেতে পারতেন না।’
সানীর বর্তমান ও নিজের প্রসঙ্গে লেখেন, ‘আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে ফেরাউন ঠিকই মারা গেছে। কিন্তু ফেরাউনের কিছু বংশধর বাংলাদেশ এখনও আছে। তারা রমজান আসলে সকল ধরনের পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দেয়। সৃষ্টিকর্তা এদের হেদায়েত দান করুন। কেজি দরে তরমুজ কিনবো না আমি প্রতিজ্ঞা করেছি।’
আরও পড়ুন: ব্যাচেলর পয়েন্টের শিমুল এখন ডিআইইউর সিএসই’র গ্র্যাজুয়েট
এর আগে নিজের ফেসবুকে ‘এ দেশ শ্রীলঙ্কা হতে আর কত কিলোমিটার বাকি!( আল্লাহ না করুক)’ শিরোনামে আরেকটি লিখা তিনি শেয়ার করেন।
টিপ নিয়ে কথা হলো। কথায় কাজও হয়েছে। সেই পুলিশ সদস্য বিচারের আওতাধীন হয়েছে। এবার তবে বাজারে চৈত্রের খরাতপ্ত দুপুরের মতন আগুন লাগা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা হোক।
- গ্যাস সংকট নিয়ে কথা হোক।
- শতভাগ বিদ্যুৎয়ানের দেশে দৈনিক এত এত লোডশেডিং নিয়ে কথা হোক।
- যাতাকলে আটকে পরার মতন রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে কথা হোক।
- শহরে মশার উপদ্রবে সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতা নিয়ে কথা হোক।
অসহনীয় দ্রব্যমূলে আম জনতার নাভিশ্বাস উঠছে। বাজারে বেগুনের মূল্য ১০০ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল, চাল, শাক-সবজি সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। সন্মান নিয়ে বেঁচে থাকা মধ্যবিত্তরা মুখ ঢেকে টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছে। তাতে আবার কেউ কেউ সেইসব ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে সহানুভূতি দেখাতে আহাজারি করছে।
যানজটে স্থবির হয়ে আছে তামাম ঢাকা শহর। অফিস থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে যানজটে ইফতারের সময় চলে যায়। দৈনিক একজন মানুষ গড়ে ৩-৪ ঘন্টা এই মনোরোম মনোটোনাস শহরে রাস্তার ট্র্যাফিকে নষ্ট করছে।
গ্যাস নাই। যাও আবার আছে তাতে প্রেশার একদম কম। রান্না-বান্নার উপায় নাই। সুতরাং গ্যাস নিয়ে কথা হোক। অন্তত রান্না-বান্নাটা যেন ঠিক মত করে রোজা রাখা যায়।
আরও পড়ুন: অনুরোধ, মেডিকেলে প্রথম হয়ে পরে আবার বিসিএস দেবেন না
সরকার শতভাগ বিদ্যুৎয়ানের দেশ ঘোষণা করেছে। অথচ দৈনিক ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। শতভাগ বিদ্যুৎয়ানের দেশে এত লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ জমিয়ে কি করছে কর্তাবাবুরা? মশা মারতে কামান নিয়ে এসেও সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা ব্যর্থ।
শ্রীলঙ্কার সংসদের অনেক সেলিব্রেটিরা এমপি-মন্ত্রী হয়েছিল। তারাও জনগণকে উন্নয়ের গল্প বলতো। আচানক এখন শ্রীলঙ্কার জনগণ দেখলো তাদের পরনের কাপড় পর্যন্ত নাই। গোটা দেশ এখন ল্যাংটা।
যেহেতু কপালে টিপ দিয়ে কথা বলাতে কাজ হয়েছে সেহেতু এবার অন্তত গলায় বেগুন ঝুলিয়ে ট্র্যাফিক জ্যামে বসে খালি গ্যাসের চুলার ছবি দিয়ে কথা হোক। কথা বললে যদি কাজ হয় তবে এবার এটুকু কথা বলা হোক।
নীতিহীন নেতা, অপরিকল্পিত নগর, জবাবদিহিতার অভাব সবকিছু রোজদিন আমাদের মারে।
মিশুক মুনীর ওর লেখা। আমি শেয়ার করলাম। ছোট ভাই সমতুল্য।