জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিলের আবেদন করেছিলেন আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্লিপী সমিতির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন ভোট কেনার অভিযোগ এনে চিত্রনায়িকা নিপুন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আবেদন জানান। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ার’ পান করেন ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া সেই আলমগীর!
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ এখন আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে জায়েদ খান ও চুন্নুর পদ।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অধিকার শাখার উপ-পরিচালক রকিব আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-তে বলা আছে, আমাদের নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচনে তদন্তপূর্বক অনিয়ম পায় তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আমরা গঠনতন্ত্রকে বাইবেল হিসেবে ধরি। গঠনতন্ত্রে যদি আমরা সমাধান না পাই সেক্ষেত্রে আইনের কাছে যাই, দেখি যে আইনে কি বলা আছে।
আরও পড়ুন: আরও দুই সপ্তাহ বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। বিএফডিসিতে সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটে। এবারের নির্বাচনে ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ৩৬৫ জন ভোটার উপস্থিত হয়েছেন। ২১টি পদে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করেন। ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।