যে স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় আতিফ আসলাম
দক্ষিণ এশিয়ার সংগীতের কথা আলোচনা করলে যাদের নাম সবার আগে আসবে, আতিফ আসলাম তাদের একজন। গান শোনেন কিন্তু আতিফ আসলামকে চিনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। শুধু গায়ক হিসেবে নন, গীতিকার, কম্পোজার এবং অভিনেতা হিসেবেও আতিফ আসলাম খ্যাতি কুড়িয়েছেন বিশ্বময়।
৩৯ বছর বয়সী এ পাকিস্তানী শিল্পীর জন্ম ১৯৮৩ সালের ১২ই মার্চ পান্জাবের ওয়াজিরাবাদে। পড়াশোনা করেছেন পাঞ্জাব ইনস্টিটিউট অফ কম্পিউটার সাইন্স এ।
২০০০ সালের পর থেকে পথ চলা শুরু আতিফ আসলামের। ২০০৫-২০০৬ সাল থেকেই বলিউডে নিজের ডেরা জমাতে শুরু করেন তিনি। তার পর একের পর এক সুপারহিট গান। এই রকস্টারের গানে ভারত-পাকিস্তান মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
বহু ভারতীয় সিনেমার গানে কন্ঠ দিয়েছেন আতিফ আসলাম। এছাড়া গেয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর থিম সং, মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানের সেরা শিল্পীও।
আতিফ আসলাম অর্জন করেছেন পাকিস্তানের পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ পদক ‘তামগা-ই-ইমতিয়াজ’ ।
সংগীত জীবনে ডুয়েট গান করেছেন মাহের জাইন, আবিদা পারভিনের মতো খ্যাতিমান শিল্পীদের সাথেও। এছাড়া আতিফ আসলামের গাওয়া Coke Studio গানগুলো নজর কেড়েছে সারা বিশ্বের সংগীত পিপাসু স্রোতাদের।
শুধু উর্দূ কিংবা হিন্দি নয়, আতিফ আসলাম গেয়েছেন বাংলা, পান্জাবি এবং পশতু ভাষায়ও। সংগীত ভুবনে আতিফ আসলাম একটি স্বপ্ন, একটি আদর্শের নাম। যেখানে তরুণ সংগীত শিল্পীদের মধ্যে অনেকেরেই বড় স্বপ্ন আতিফ আসলাম হওয়া, সেখানে আতিফ আসলামের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটিই নাকি এখনও পূরণ হয়নি। সম্প্রতি এমনটি উঠে আসে পাকিস্তান ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে। যেখানে আতিফ আসলাম বলেন, ‘আমার স্বপ্ন পবিত্র কাবায় আজান দেওয়া; এটিই আমার সুপ্রিম ড্রিম।’