কেমন হলো মেহজাবীনের প্রথম সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’?
দর্শক-শ্রোতার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় তারকা মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। এর মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হলো এই অভিনেত্রীর।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের ২০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘প্রিয় মালতী’। দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করতে সকাল ১১টায় রাজধানীর পান্থপথ শাখার স্টার সিনেপ্লেক্সে যান মেহজাবীন চৌধুরী, নির্মাতা, প্রযোজক ও সংশ্লিষ্টরা। ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় প্রথম শো। শো–টি ছিল হাউজফুল।
সিনেমা শেষে মেহজাবীনকে শুভেচ্ছা জানান দর্শকরা। সিনেমাটি তাদের ভালো লেগেছে বলে মন্তব্য করেন দর্শকরা। সিনেমায় থাকা সামাজিক সমস্যার কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেন তারা। নানা বয়সী দর্শকদের দেখা গেছে প্রথম শো–তে। বয়সে পার্থক্য থাকলেও গল্পের মূল ভাবনা বুঝতে সমস্যা হয়নি কারও। কিছু দর্শককে চোখে পানি নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।
নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্তের গল্প ও নির্মাণের প্রশংসা করেছেন অধিকাংশ দর্শক। দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখা শেষ করে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন ও নির্মাতা। মেহজাবীন বলেন, ‘সিনেমা ভালো লাগবে, এই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দর্শক এতটা ইমোশনাল হয়ে পরবেন, আশা করিনি। খুবই ভালো লাগছে, সবাইকে ধন্যবাদ।’
নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত বলেন, অনেকেই ভালো বলছেন। এমন আরও অনেকেই মন্তব্য করবেন। এগুলো তো মাত্র আসা শুরু হলো। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগার কথাই বেশি আসবে। আমি সবাইকে শুধু বলেত চাই, আপনারা ’প্রিয় মালতী’ দেখতে আসুন, আপনাদের গল্পই বলা হয়েছে সিনেমায়।
‘প্রিয় মালতী’ যাপিত জীবনের গল্প। সিনেমায় নিম্ন–মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমায় তার নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন–মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। হঠাৎই একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
সিনেমায় মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় চরিত্রটিকে। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন পরিচালক। সিনেমার গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত।
উল্লেখ্য, এ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দার অভিনেত্রী হিসেবে মেহজাবীন, নির্মাতা হিসেবে শঙ্খ দাশগুপ্ত এবং প্রযোজক হিসেবে পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন আদনান আল রাজীব।