চলে গেলেন ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ খ্যাত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

পাপিয়া সারোয়ার
পাপিয়া সারোয়ার  © সংগৃহীত

দর্শক-শ্রোতার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। আধুনিক গানে খ্যাতি পেয়েছেন, পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতেও পেয়েছেন বিপুল শ্রোতার শ্রদ্ধা-ভালোবাাস। কয়েক বছর আগে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তারপর চিকিৎসা নিয়েছেন দেশ-বিদেশে। তবে শেষ রক্ষ হলো না তার। চলে গেলেন একুশে পদকজয়ী এই শিল্পী।

আজ বৃহষ্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাপিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম।

তিনি বলেন, ‘পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন।’

জানাজা-দাফন কোথায় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।’

৭১ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না তার।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। চলতি বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্রমেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বরিশালের মেয়ে পাপিয়া প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।

তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়।


সর্বশেষ সংবাদ