দেশের বাইরে থাকলেও ছাত্র আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ছিলেন জায়েদ খান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শোবিজের অনেক শিল্পীই প্রতিবাদ জানান, এমনকি রাজপথেও নেমে আসেন। তবে এদের মধ্যে অনেককেই এই আন্দোলনে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে আবার কেউ কেউ দলীয় ট্যাগে ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, দেশের বাইরে থাকলেও ছাত্র আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ছিলেন জায়েদ খান।
আন্দোলনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দেশের বাইরে ছিলেন আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। দেশের বাইরে থেকেও সক্রিয় ছিলেন এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তিনি গ্রুপে এক সাংবাদিকের দেয়া মেসেজ ফরোয়ার্ড করে লেখেন। সহমত। সেটি ছিল, ‘কেবল একটু আওয়াজ হলো জয় বাংলা।
আজ ফেসবুক পুরাই শান্ত দিঘীর জলের মতো স্বচ্ছ। এক পেশে চিৎকার আর স্বস্তা আবেগে ওরা জাস্ট একটা ট্রমার মধ্যে রেখেছিল দেশটাকে।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন এই তারকা। তাকে অনুমান করা যায় নানা দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতেন সেই গ্রুপে।
সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে! তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য।
সেই গ্রুপে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও কথা হয়। ফলে ফারুকী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এটিকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বিচার চেয়েছেন।
এদিকে,২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান। তিনি এখন স্টেজ শো-এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শিল্পী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করব এটা কেমন কথা। আমার মনে হয় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে শিল্পীদের জড়িয়ে এ ধরনের মামলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও শিল্পীরা হলো ফুলের মতো। তারা সংঘাতে বিশ্বাসী না।