‘জীবন আজও হলুদ সংবাদের পাতায় মোড়া’
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। অভিনয় ও গান দুই মাধ্যমেই বেশ সাবলীলভাবে এগিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই তারকা। তবে সম্প্রতি বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে হঠাৎ তাহসানের নাম জুড়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে মা জিনাতুন নেসার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। এরপর তাহসান বলেন আমি কখনোই বিসিএস পরীক্ষায় বসিনি। ৬ বছর আগের ‘জীবন আজও হলুদ সংবাদের পাতায় মোড়া’ তাহসানের গাওয়া সেই গানের কথাগুলোর সাথে বর্তমান সময়টা অদ্ভুত ভাবে যেন মিলে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষাপট নিয়ে এবার দেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সংগীতশিল্পী তাহসান । তিনি বলেন, তিনি কখনো বিসিএস পরীক্ষা দেননি। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আলোচিত সৈয়দ আবেদ আলী কখনো তার মা জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়িচালক ছিলেন না। মায়ের নাম জড়ানোর ব্যাপারে এই তারকা বলেন, ‘এখানে একটা ভুল হচ্ছে। এই ড্রাইভার অফিসের অন্যান্য ড্রাইভারদের মতোই একজন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিউমার স্ক্যানার গ্রুপেও উঠে এসেছে যে, বিষয়টিই অসত্য। তারা জানাচ্ছে, ২৪তম বিসিএসে ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। সেখানে বলা হয়েছে, মূলত ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৪তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৩ মার্চ পরীক্ষাটি বাতিল করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। পরবর্তী সময়ে পুনরায় ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়।
অর্থাৎ, যে বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরই বাতিল হয়, তাই সেই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাছাড়া ২৪তম বিসিএসে ভাইবা একবারই হয়েছিল। যার কারণে পুনরায় ভাইবায় অংশগ্রহণের দাবিটিও অমূলক।
এদিকে, এ ঘটনার পরপরই বুধবার (১০ জুলাই) রাতে তাহসান নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে এক পোস্ট করেছেন।
নিজের গানের কিছু কথার সঙ্গে কষ্ট গানের লিরিক্স দিয়ে তিনি লেখেন, জীবন আজও হলুদ সংবাদের পাতায় মোড়া
কাঠগড়ায় আসামী আমি
তোমার নীরব ঐ বিবেক
কেন আত্মহত্যা মহাপাপ?
কেন সমাজ দর্শন এত নিষ্ঠুর?
কোথায় মানবিকতা বোধ তোমার?
আমার কষ্টে তোমার অসুস্থ হাসি!
সেখানে অনেক নেটিজেনরা কমেন্টও করেছেন। ইউসুফ ইফতি নামে একজন লিখেছেন, তাহসান কে আমরা যতটুকু জানি সেটা কিন্তু তাহসানের মেধার কারনেই। যিনি বাংলাদেশের একজন গর্ব। তাই অজ্ঞ মানুষ জন কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না। ইগনোর করেন।
জান্ন্তুল নামে একজন লিখেছেন, বর্তমান সময়ে মানুষ একটা বার্তা শুনলেই সেটা নিয়ে ট্রল করা শুরু করে, কিন্তু যারা ট্রল করে তারা নিজেরাও ঠিল ভুল জানেনা। সত্য মিথ্যা যাচাই করে না। কারো সম্পর্কে কিছু বলতে হলে তার আগে অবশ্যই তার সম্পর্কে খোজ খবর নিতে হয়, সত্য মিথ্যা যাচাই করে তারপর খবর ছড়ানো উচিত। এতে অন্তত কোন নির্দোষ মানুষ বিপাকে পড়বে না।