১২ জুন ২০২৪, ১০:১৯

বাংলার মানুষ সত্যি সত্যিই কোকোকোলা বর্জন করুক: জয়

শাহরিয়ার নাজিম জয়  © সংগৃহীত

কোমল পানীয় কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনার মুখে পড়েছেন এ চিত্রে কাজ করা অভিনেতারাও। তীব্র সমালোচনার মুখে ওই বিজ্ঞাপনচিত্র কোকাকোলা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিলেও পরে তা আবার আসতে দেখা যায়। কোকাকোলা নিয়ে নেটিজেনদের এ বিতর্কে যোগ দিয়েছেন আরেক অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।

ফেসবুকে জয় লিখেছেন, কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে যা কিছু হল তাতে কি কোকাকোলা সেল কমলো কিনা বাংলাদেশে তার কোন সমীক্ষা কি কেউ বের করতে পারবেন? নাকি নেগেটিভ পাবলিসিটি দিয়ে তারা আরো পাবলিসিটি কিনে নিল? নানান মত নানান ধর্ম নানান দর্শনের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত লোকের মিশ্রণের এই দেশে আমরা কি কোন বিষয়ে একমত হতে পারি?

আসন্ন ঈদের পরিচালক অমির কাজের প্রতি শুভ কামানও জানিয়েছেন এই অভিনেতা ও উপস্থাপক। তিনি লিখেছেন, কাজল আরেফিন অমি যে কাজটি বানিয়েছেন ‘ফিমেল ফোর’ সেই কাজটি সুপার ডুপার হিট হোক। আর কোকোকোলা সত্যি সত্যিই বর্জন করুক বাংলার মানুষেরা।

এর আগে, কোমল পানীয় কোকাকোলার বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পী শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা।

এই কোমল পানীয় ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠানের— এমন একটি কথা দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা হয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞাপনে প্রতিষ্ঠানটি দর্শকদের বোঝাতে চেয়েছে, এটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান নয়। বাংলাদেশে বাজারজাতকৃত এই কোমল পানীয় বাংলাদেশেই তৈরি হয়।

বিজ্ঞাপনচিত্রে বলা হয়েছে, কোকাকোলা ১৯৩ দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও এর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে, তা একেবারে গুজব। আর এই বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচিত এই বিজ্ঞাপনচিত্রের নির্মাতা ও অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন এবং আরও দুই অভিনয়শিল্পী শিমুল শর্মা ও আব্দুল্লাহ আল সেন্টু।

বিজ্ঞাপনচিত্রের শেষ সংলাপটি ছিল এমন— একটা চুমুক দেন, তারপর সার্চ দেন। এরপরই নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়ে বিজ্ঞাপনচিত্রটি। আর তাতেই কোকাকোলা বয়কটের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের অভিনয়শিল্পীদেরও বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা।