ব্যারিস্টার সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে হাসি ভাইরাল, যা বললেল পিয়া
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের চেম্বারে কাজ করেছেন মডেল পিয়া জান্নাতুল। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী, সেই সাথে তিনি একজন আইনজীবীও বটে। তবে আইনজীবীর পোশাকে পিয়ার একটি মুচকি হাসির ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাঁর সেই মুচকি হাসিতে ঘায়েল নেটিজেনরা। পিয়ার ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে বানানো হচ্ছে রিলস। যার ফলে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে গেছেন তিনি।
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি সংবাদের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার সুমন। আর সেসময় সুমনের কথা শুনে পিয়া খানিকটা মুচকি হেসে ওঠেন। এরপর রাতারাতি সেই হাসির সুবাধে ভাইরাল গার্ল বা ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসেন পিয়া। বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার ওই ভিডিও বসিয়ে দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে।
এর পর থেকেই এই ভিডিওটি কয়েকলক্ষ বার শেয়ার হয়েছে। ভিডিওটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে ট্রল, অনেকেই আবার মেয়েটিকে বলছে জাতীয় ক্রাশ। খুলনায় জন্মগ্রহণ করা ভাইরাল এই মডেলকে পরিবারের মানুষ পিউ বলে ডাকেন। তিনি লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন।
এই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’ ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ যেন পিয়ার প্রেমে বুঁদ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, যাঁরা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন, বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। তাঁদের আসলে জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।
নতুন করে ফের অনেকের ক্রাশ আর ইউটিউবারদের কন্টেন্টের প্রিয় বিষয়বস্তু হয়ে ওঠা নিয়ে পিয়া দিলেন সহজ সরল আর উদার উত্তরে বললেন, আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।’
পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়াও মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া। ২০১২ সালে চোরাবালির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। ২০১৪ সালে তিনি একই সাথে বেশকটি চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে, গ্যাংস্টার রিটার্নস, দ্য স্টোরি অফ সামারা এবং প্রবাসীর প্রেম।