মস্কোতে প্রদর্শিত হচ্ছে মনোজ প্রামাণিকের চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’

  © টিডিসি ফটো

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ৪৬তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক এবং সুব্রত সরকার।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে উপজীব্য করে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মস্কোতে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড় তীরবর্তী তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওড় ও এর আশেপাশে চিত্রায়িত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। নদী দূষণ কিংবা প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানুষ আবার সেই প্রকৃতির প্রতিশোধের শিকারের ব্যাঙ্গাত্মক রূপ দেখানো হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। 

টেকসই চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ও পরিবেশবান্ধব চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশলের অংশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাংগুয়ার হাওড়ে ২০২৩ সালে আয়োজিত হয়েছিলো ইকো ফিল্ম ল্যাব। এই প্রজেক্টের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। ইকো ফিল্ম ল্যাব নীতিমালার অংশ হিসেবে অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী, বাস্তব লোকেশন, শুধুমাত্র দিনের আলোর ব্যবহার, খুবই অল্পসংখ্যক কলা-কুশলী, সীমিত লোকেশন ও সর্বোপরি অনারম্বর আয়োজনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। 

'হইতে সুরমা' নিয়ে অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বলেন, খুবই ভালো লাগছে। আমার পরিচালনায় এটাই প্রথম কাজ। মূলত শিক্ষণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কাজটি করা হয়েছে। আসলে কাজ করাটাই মূল বিষয়। চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সময় পুরো টিম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি ভালোভাবে পুরো গল্পকে তুলে ধরার। চলচ্চিত্রটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

চলচ্চিত্রটিতে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার প্রযোজনার পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনায় যুক্ত আছে বাংলাদেশের মনপাচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড একশন, জার্মানির মগাদোর ফিল্ম ও আমেরিকার স্ম্যাশ মিডিয়া।

 

সর্বশেষ সংবাদ