অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, যা বললেন অভিনেতা
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই) সম্প্রতি ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর নামে চুক্তি ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছে। জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪টি নাটকের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাত্র ৯টি নাটকে কাজ করে তেত্রিশ লাখ টাকা নিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিরত আছেন অপূর্ব।
সোমবার (১১ মার্চ) অভিযোগ করেন তিনি। এমন অভিযোগ এনে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া (শাহরিয়ার শাকিল)
জানা যায়, দুই বছর আগে ২৪টি নাটকের জন্য অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব চুক্তিবদ্ধ হন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল। চুক্তিমতো প্রতি মাসে তিন দিন সময় দিয়ে নাটকগুলোর শুটিং শেষ করে দেওয়ার কথা অপূর্বর। গত বছর অক্টোবরে নাটকগুলোর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এমন শর্তে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি ২৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেয় অপূর্বকে। ৯টি নাটকের শুটিংও হয়। পরে শুটিং না করায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি অপূর্বর বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানো ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে অপূর্বকে আইনি নোটিশ দেয়। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় নাটকপাড়ায়।
এ ঘটনায় অভিনেতা অপূর্ব বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তার জন্য মানহানিকর। আমি দীর্ঘদিনের সুপরিচিত একজন অভিনয়শিল্পী। অর্থ আত্মসাতের মতো নোংরা মিথ্যা অভিযোগে আমার মতো একজন শিল্পীকে জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
এ ঘটনায় শেষপর্যন্ত অপূর্ব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (টেলিপাব) বিষয়টি নিয়ে অবগত। তারা যা বলার বলবেন।
তবে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, অপূর্বর সঙ্গে তাদের পথচলা দেড় যুগের বেশি সময় ধরে। সেই সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে তারা একসঙ্গে ২৪টি নাটকের শুটিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ২৪টি নাটকে শুটিংয়ের বিপরীতে ৯টির শুটিং করে অগ্রিম ২৫ লাখ ও পরে ৯ লাখসহ অপূর্ব ৩৩ লাখ টাকা নেন। পরে আরো ১০ মাস সময় অতিবাহিত হলেও তিনি আর শিডিউল দেননি প্রযোজককে।
দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ার জিয়াউল ফারুক অপূর্বর। এ সময়ে কখনোই তাঁকে নিয়ে এমন কোনো ঘটনা শোনা যায়নি বলে জানা গেল অভিনয়শিল্পী সংঘ সূত্রে। অপূর্বর কথা, তিনি সততার জায়গা থেকে কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে আহত। তিনি বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমি সহযোগিতার সঙ্গে কাজ করে গিয়েছি।