সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষায় লিখে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন জন ফসে
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়ের সাহিত্যিক জন ফসে। তিনি নরওয়ের সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষায় লেখালেখি করেন। এই পুরস্কারকে তার দেশের সেই ভাষার প্রতি স্বীকৃতি বলেই মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) নোবেল কমিটি নাম ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান এই সাহিত্যিক। খবর এনডিটিভির। যে ভাষায় লিখে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন এই ভাষা ‘নতুন নরওয়েজিয়ান’ হিসেবে পরিচিত। দেশটির মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
এই ভাষা ১৯ শতকে গ্রামীণ উপভাষাগুলোর সঙ্গে বিকশিত হয়েছিল। এটি ডেনমার্কের ভাষার প্রভাব থেকে বের হতে ও সেই ভাষা ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে তৈরি হয়।
সাহিত্যিক জন ফসে আরো বলেন, ‘আমি খুব অভিভূত। আবার আমার ভয়ও করছে। আমি এই পুরস্কারকে সাহিত্যের জন্য এমন একটি পুরস্কার হিসেবে দেখি, যা যেকোনও বিবেচনা ছাড়াই সবার আগে সাহিত্যের জন্যই হওয়া প্রয়োজন।’
আরো পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় স্টকহোমে অবস্থিত সুইডিশ একাডেমির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে জন ফসের নাম ঘোষণা করা হয়। মূলত সাহিত্যে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্যই তাকে এবারের নোবেল বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
জন ফসের জন্ম ১৯৫৯ সালে নরওয়েতে। তিনি ৪০টির মতো নাটক লিখেছেন। এর বাইরে অনেকগুলো উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, শিশুতোষ বই ও অনুবাদের বই রয়েছে ফসের। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান নাট্যকারদের একজন তিনি। পুরস্কারের ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (১০ লাখ ডলার) পাবেন নরওয়েজিয়ান এই লেখক। গত বছর ফরাসি লেখক আনি এরনো এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।